ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ক্রীড়াঙ্গনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। সমগ্র দেশ জুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে চলমান আইপিএল ২০২৫ এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
খেলাধুলার খবর: ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য বর্তমানে বৃহৎ উদ্বেগ আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। গত সপ্তাহে বিসিসিআই ভারত-পাক উত্তেজনার কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) ২০২৫ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এখন, বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে একটি নতুন আপডেট প্রকাশিত হয়েছে, যা এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আশা আবার জাগ্রত করেছে। আইপিএলের অবশিষ্ট মৌসুম নিয়ে আলোচনা গরম, এবং যদি সব ঠিক থাকে তবে এটি সেপ্টেম্বরে পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ধর্মশালা ম্যাচ টার্নিং পয়েন্ট
ঘটনার সূচনা ধর্মশালা থেকে, যেখানে পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। দশ ওভারও শেষ হয়নি যে, হঠাৎ করেই ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে এটিকে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বলে মনে করা হয়েছিল, কিন্তু শীঘ্রই ম্যাচ বাতিল করা হয়। এর পর শুক্রবার বিসিসিআই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
এর পিছনে কারণ হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হঠাৎ সামরিক উত্তেজনার কথা বলা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলি এবং ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বৃহৎ আয়োজন বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল, যা বিসিসিআই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।
বিসিসিআই-এর পরবর্তী কৌশল কী?
বিসিসিআই সচিব রাজীব শুক্লা নিশ্চিত করেছেন যে, পরবর্তী সপ্তাহে একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হবে, যেখানে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে। যদি উত্তেজনার হ্রাস পায়, তাহলে আইপিএল-এর নতুন তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে। তিনি এ কথাও বলেছেন যে, আইপিএল কেবলমাত্র এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়নি।
রাজীব শুক্লা বলেছেন, আমরা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। সরকার, নিরাপত্তা সংস্থা এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে আলোচনার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা সবাই চাই আইপিএল সম্পূর্ণ হোক, কিন্তু খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার।
সেপ্টেম্বরে হতে পারে আয়োজন
আইপিএল-এর আয়োজন এখন সেপ্টেম্বরে হতে পারে, যখন এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সময়সূচী ছিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল, কিন্তু সীমান্তে বর্ধিত উত্তেজনা এর সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে। যদি এশিয়া কাপ বাতিল হয়, তাহলে বিসিসিআই একই সময়ের মধ্যে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন করতে পারে। এর জন্য কিছু বিকল্প স্থান নিয়েও বিবেচনা করা হচ্ছে।
খবরের দাবি অনুযায়ী বিসিসিআই লীগ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প নিয়ে বিবেচনা করেছিল, যার মধ্যে ম্যাচগুলিকে অন্যান্য নিরাপদ শহরে স্থানান্তর করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই অনিশ্চিত ছিল যে এটিকে স্থগিত করাটাই ভালো বিকল্প বলে মনে করা হয়েছিল। বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টাটা গ্রুপ এবং জিও-র মতো স্পন্সরদের সাথেও আলোচনা করেছিল। উভয় কোম্পানিই বোর্ডের সিদ্ধান্তের সমর্থন করেছে।