আইপিএল ২০২৫ আবারও ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। এক সপ্তাহের বিরতির পর ১৭ মে থেকে এই লিগ পুনরায় শুরু হতে চলেছে। এই সময় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিয়ে।
খেলাধুলা সংবাদ: এক সপ্তাহের বিরতির পর আইপিএল ১৭ মে থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে। লিগ স্থগিত হওয়ার কারণে অনেক বিদেশি খেলোয়াড় নিজ দেশে ফিরে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন বেশিরভাগ খেলোয়াড় আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ভারতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত। তবে, কিছু খেলোয়াড় এ পর্যায়ে উপলব্ধ থাকবেন না, বিশেষ করে যারা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনালে অংশগ্রহণ করবেন।
গুজরাট টাইটান্স
গুজরাট টাইটান্সের জন্য জোস বাটলার এবং গেরাল্ড কোয়েৎজির প্রত্যাবর্তন স্বস্তি এনেছে। তবে, বাটলার ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, যার ফলে তাঁর পরবর্তী খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে, শেরফেন রাদারফোর্ড ভারতেই থেকে গেছেন এবং তিনি লিগের বাকি ম্যাচ খেলবেন। রশিদ খান, করিম জনাত এবং কাগিসো রাবাদাও দলের সাথে আছেন। কিন্তু রাবাদাকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য ডাকা যেতে পারে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
আরসিবি-কে বেশ কিছু ধাক্কা সহ্য করতে হয়েছে। দ্রুত বোলার জোশ হেজেলউড কাঁধে আঘাত এবং WTC ফাইনালের কারণে উপলব্ধ থাকবেন না। অন্যদিকে, রোমারিও শেফার্ডের অনুপস্থিতিও নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের জ্যাকব বেথেল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডির দলে ফিরে আসাও সংশয়াত্মক। ফলে, আরসিবি-কে প্লে-অফের আশা বজায় রাখার জন্য ঘরোয়া খেলোয়াড়দের উপর বেশি নির্ভর করতে হবে।
দিল্লি ক্যাপিটালস
দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতি বড় ক্ষতি। স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন এবং তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। জেক ফ্রেজার এবং ট্রিস্টান স্টাবসের অনুপস্থিতিও দলের বোলিং এবং ব্যাটিং দুটোকেই দুর্বল করে তুলতে পারে। বাকি বিদেশি খেলোয়াড়রা দলে আছেন, যা দলের জন্য কিছুটা স্বস্তি অবশ্যই।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। অধিকাংশ বিদেশি খেলোয়াড় দলে আছেন। তবে, উইল জ্যাকস এবং কর্বিন বোশের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব তাদের প্লে-অফ ম্যাচ থেকে দূরে রাখতে পারে। মুজিব উর রহমান লিগের বাকি ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে।
পঞ্জাব কিংস
পঞ্জাব কিংসের আশা এখনও বহাল রয়েছে, কিন্তু বিদেশি খেলোয়াড়দের অবস্থা স্পষ্ট নয়। অস্ট্রেলিয়ার জোশ ইংলিশ এবং মার্কাস স্টোইনিসের ফিরে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যদি এই দুই খেলোয়াড় ফিরে না আসে, তাহলে দলের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। মার্কো জানসেনের প্রত্যাবর্তনও সংশয়াত্মক।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
কেকেআর-এর অ্যান্ড্রে রাসেল, সুনীল নারিন এবং রোভম্যান পাওয়েল দুবাইতে ক্যাম্প করছেন এবং ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত। কুইন্টন ডি কক, এনরিক নর্টজে এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজও দলের সাথে যোগ দেবেন। মঈন আলী এবং স্পেন্সার জনসনের অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়।
চেন্নাই সুপার কিংস
সিএসকে প্লে-অফের লড়াই থেকে বাদ পড়েছে, কিন্তু তাদের অনেক বিদেশি খেলোয়াড় ফিরে আসতে পারেন। নুর আহমদ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, মথিশা পাথিরানা এবং ডেভন কনওয়ে-র প্রত্যাবর্তন প্রায় নিশ্চিত। রচিন রবিন্দের অবস্থা স্পষ্ট নয়। স্যাম করণের আসার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু জেমি ওভারটন ইংল্যান্ড দলে নির্বাচিত হয়েছেন এবং ফিরে আসবেন না।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
এসআরএইচও প্লে-অফের লড়াই থেকে বাদ পড়েছে, তবুও তাদের দলে বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তন হচ্ছে। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং ওপেনার ট্র্যাভিস হেড আসার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। হেনরিক ক্লাসেন, কামিন্দু মেন্ডিস এবং এশান মালিঙ্গাও দলের সাথে থাকবেন।
