ভারতের চমৎকার জয়: বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে পরাজিত

🎧 Listen in Audio
0:00

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৬ উইকেটে বাংলাদেশকে পরাজিত করে চমৎকার জয় অর্জন করেছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করে ২২৮ রানে অলআউট হয়।

খেলাধুলার খবর: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর প্রথম ম্যাচে ভারত বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে, কিন্তু ভারতীয় বোলাররা তাদের খোলাখুলিভাবে খেলার সুযোগ দেয়নি। পুরো বাংলাদেশ দল ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয়। ভারতের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ শামি চমৎকার বোলিং করে ৩ উইকেট নেন, এবং জসপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদবও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরু ভালো হয়। শুভমান গিল ১০১* রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান, এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুলও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ভারত ৪৬.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে এবং টুর্নামেন্টে তাদের অভিযানের বিজয়ী শুরু করে। আসুন জেনে নেই ভারতের জয়ের ৫ জন নায়ক কারা ছিলেন।

১. শুভমান গিল (ব্যাটসম্যান)

শুভমান গিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ তার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রোহিত শর্মার সাথে ওপেনিং করতে নেমে গিল পুরো ম্যাচে টিকে থাকেন এবং অপরাজিত ফিরে যান। তিনি কেএল রাহুলের সাথে ম্যাচ জয়ী অংশীদারিত্ব গড়েন এবং সংযত ইনিংস খেলেন। গিল ১২৫ বলে তার শতক পূর্ণ করেন, যা আইসিসি ইভেন্টে তার প্রথম শতক। তিনি মোট ১২৯ বলে ১০১ রান করেন, যার মধ্যে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।

২. কেএল রাহুল (ব্যাটসম্যান)

কেএল রাহুল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর এই ম্যাচে ব্যাট ও গ্লাভস দুটোতেই চমৎকার পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি শুভমান গিলের সাথে মিলিত হয়ে ম্যাচ জয়ী অংশীদারিত্ব গড়েন এবং ৪৭ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন। তার এই ইনিংসে ২টি ছক্কা ও ১টি চার ছিল, যার মাধ্যমে তিনি ভারতীয় ইনিংসকে শক্তিশালী করেছেন। উইকেটের পিছনেও রাহুল চমৎকার দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং বাংলাদেশের ইনিংসের সময় ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ধরেন।

৩. রোহিত শর্মা (ব্যাটসম্যান)

২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দলকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা দ্রুত শুরু করে দেন। হিটম্যান ১১৩.৮৯ এর স্ট্রাইক রেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন, যার মধ্যে ৭টি চার ছিল। তিনি শুভমান গিলের সাথে প্রথম উইকেটের জন্য ৬৯ রানের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়েন, যার ফলে ভারতকে দৃঢ় শুরু হয়।

৪. মোহাম্মদ শামি (বোলার)

মোহাম্মদ শামির আগুন ছুঁড়ে দেওয়া বোলিংয়ের ফলে বাংলাদেশ বড় স্কোর তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। শামি আবারও ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মতো বোলিং করে প্রতিপক্ষ দলকে পিছনে ঠেলে দেন। তিনি শুধু উইকেটই নেননি, বাংলাদেশের রানের হারও নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ভারতীয় ফাস্ট বোলার তার ১০ ওভারের স্পেলে ৫.৩০ ইকোনমিতে ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন।

৫. হর্ষিত রাণা (বোলার)

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের ব্যবস্থাপনা আর্শদীপ সিংকে বেঞ্চে বসিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে ডেবিউ করা হর্ষিত রাণাকে সুযোগ দেয়। রাণাও এই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে এবং মোহাম্মদ শামির সাথে চমৎকার সহযোগিতা করেন। তিনি ৭.৪ ওভার বোলিং করে ৪ এর ইকোনমিতে মাত্র ৩১ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। তার কঠোর বোলিংয়ের ফলে বাংলাদেশ বড় স্কোর তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।

Leave a comment