চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তান দল ১৫৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১৫ রান করেছে এবং এখন তারা জিম্বাবোয়ের থেকে ৭১ রানে পিছিয়ে আছে। আফগানিস্ত তাদের প্রথম উইকেটটি মাত্র ৩ রানের স্কোরে হারায়, যা একটি হতাশাজনক শুরু ছিল।
স্পোর্টস নিউজ: জিম্বাবুয়ে এবং আফগানিস্তানের মধ্যেকার টেস্ট ক্রিকেটের দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ২৬শে ডিসেম্বর থেকে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে খেলা হচ্ছে। উভয় দলের মধ্যে এ পর্যন্ত দুটি টেস্ট ম্যাচ হয়েছে, এবং এই দুটিতেই প্রতিটি দল একটি করে জয় পেয়েছে। এই সমতার রেকর্ড উভয় দলের মধ্যেকার প্রতিযোগিতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পারফরম্যান্সের পরিচয় দেয়। এই আসন্ন টেস্ট সিরিজে উভয় দলের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় লড়াই দেখা যেতে পারে, কারণ উভয় দলের পারফরম্যান্সই কঠিন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
চতুর্থ দিনটি ছিল আফগানিস্তানের নামে
চতুর্থ দিনের খেলার পর আফগানিস্তান দল ১৫৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১৫ রান করেছে এবং তারা এখনও জিম্বাবুয়ের থেকে ৭১ রানে পিছিয়ে আছে। আফগানিস্তানের হয়ে রহমত শাহ দারুণ ব্যাটিং করে অপরাজিত ২৩৪ রান করেন, যেখানে তিনি ৪২৪ বলে ২৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়াও, হাশমতুল্লাহ শাহিদিও ১৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং আফসার জাজাই ৪৬ রান করে ক্রিজে টিকে আছেন।
তৃতীয় উইকেটের জন্য উভয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৩৬৪ রানের চমৎকার জুটি আফগানিস্তানকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের দলের হয়ে ট্রেভর গুয়ান্ডু প্রথম বড় সাফল্য এনে দেন। নিউম্যান নিয়াম্বুরি, ট্রেভর গুয়ান্ডু এবং ব্লেসিং মুজারাবানি প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস ছিল চমৎকার
বক্সিং ডে টেস্টে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম উইকেটের জন্য জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা ৪৩ রানের জুটি গড়েন, যা দলকে একটি শক্তিশালী শুরু এনে দেয়। জিম্বাবুয়ে দল তাদের প্রথম ইনিংসে ১৩৫.২ ওভারে ৫৮৬ রান করে, যেখানে শন উইলিয়ামস ১৫৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি ১৭৪ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। শন উইলিয়ামস ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট অপরাজিত ১১০ রান এবং অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন ১০৪ রান করেন।
আফগানিস্তানের হয়ে নাভিদ জাদরান প্রথম বড় সাফল্য এনে দেন এবং দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন। আফগানিস্তানের বোলার এএম গজনফর সবচেয়ে বেশি তিনটি উইকেট নেন। এছাড়াও, নাভিদ জাদরান, জহির খান এবং জিয়া-উর-রহমান দুটি করে উইকেট নেন, কিন্তু জিম্বাবুয়ের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের সামনে আফগানিস্তানের বোলিং তেমন কার্যকর ছিল না।
