তেজস্বী যাদবের দিল্লি সফর: মহাগঠবন্ধনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উত্তেজনা

🎧 Listen in Audio
0:00

তেজস্বী যাদবের আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়গের সাথে হতে চলা বৈঠককে কেবলমাত্র একটা আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ বলে অগ্রাহ্য করা যাবে না, বিশেষ করে যখন বিহার বিধানসভা নির্বাচন মাত্র কয়েক মাস দূরে।

তেজস্বী যাদব: দিল্লির রাজনৈতিক পরিবেশ আজ কিছুটা ভিন্ন। বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব রাজধানীতে পৌঁছেছেন এবং তাঁর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়গের সাথে দেখা করার কর্মসূচী রয়েছে। আরজেডি শিবির থেকে এই সাক্ষাতকে আনুষ্ঠানিক বলে বর্ণনা করা হচ্ছে, কিন্তু বিহারের রাজনীতির जानকাররা এটিকে কেবলমাত্র শিষ্টাচারের বৈঠক বলে মেনে নিতে তৈরি নন। বিশেষ করে যখন রাজ্যে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আভাস শোনা যাচ্ছে এবং মহাগঠবন্ধনের মধ্যে ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী’ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং বক্তব্যের ধারা তীব্রতর হয়ে উঠেছে।

বিহার কংগ্রেসকে সংকেত দিতে দিল্লিতে পৌঁছালেন তেজস্বী?

সম্প্রতি বিহার কংগ্রেসের অনেক নেতা মহাগঠবন্ধনে নেতৃত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। কেউ তেজস্বী যাদবের নামে নীরবতা পালন করছেন, আবার কেউ কেউ রাজ্য কংগ্রেস সভাপতিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। এই সবের মাঝে আরজেডির জন্য পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় তেজস্বী যাদবের দিল্লি সফর সরাসরি একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে – যে মহাগঠবন্ধনে আর লুকোচুরি এবং পাবলিক পোস্টারিং চলবে না।

এজেন্ডায় কী কী থাকতে পারে?

১. মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে একমত: তেজস্বী চান কংগ্রেস নেতৃত্ব স্পষ্ট করে ঘোষণা করুক যে মহাগঠবন্ধনের মুখ হবেন তিনিই। স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের বারবার বক্তব্য দেওয়ার ফলে অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়ে।

২. আসন বণ্টনের আলোচনার সূচনা: ২০২০ সালে কংগ্রেসকে ৭০টি আসন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার কংগ্রেস আরও আসন চাইছে, কিন্তু আরজেডি হয়তো ততটা উদারতা দেখাবে না। তাই এই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা জরুরি।

৩. সংগ্রামের একীভূত কৌশল: এনডিএ-র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ मोर्चा তৈরি করার জন্য যৌথ সমাবেশ, ঘোষণাপত্র এবং প্রচার কৌশল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

দিল্লিতে উত্তাল, পটনায় নীরবতা

দিল্লিতে যেখানে তেজস্বী যাদব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে দেখা করে গঠবন্ধনকে ‘সামাল দেওয়ার’ চেষ্টা করছেন, সেখানে পটনায় কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিট এই বৈঠক নিয়ে নীরবতা পালন করছে। এই ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট করে যে দুই দলের মধ্যে অনেক কিছু এখনও স্পষ্ট নয়। তেজস্বীর এই বৈঠকের পর কংগ্রেস কি তাদের নেতাদের ‘টাইট’ করবে? আসন বণ্টনের কোন রূপরেখা তৈরি হবে কি? এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – কংগ্রেস কি স্পষ্টভাবে তেজস্বীকে মহাগঠবন্ধনের মুখ বলে স্বীকার করবে?

এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও অস্পষ্ট, কিন্তু তেজস্বী যাদবের দিল্লি সফর এতটুকু নিশ্চিত করে দিয়েছে যে বিহারে ২০২৫ সালের নির্বাচন अब কেবলমাত্র বিজেপি বনাম মহাগঠবন্ধন নয়, বরং এটি ঐক্য বনাম অনিশ্চয়তার লড়াইও হবে।

Leave a comment