পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা হায়দার মঙ্গলবার ভোরে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গ্রেটার নয়ডার কৃষ্ণা হাসপাতাল থেকে এই সুসংবাদটি এসেছে, যেখানে সীমা সকাল ৪টায় তার কন্যাকে জন্ম দিয়েছেন। মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।
গ্রেটার নয়ডা: পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে আলোচনায় থাকা সীমা হায়দার আবারও শিরোনামে। এবার কারণ তাঁর প্রেম বা আইনি বিবাদ নয়, বরং তাঁর ঘরে এক নবজাতকের আগমন। সীমা মঙ্গলবার ভোরে গ্রেটার নয়ডার কৃষ্ণা হাসপাতালে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এটি সচিন মীণার প্রথম সন্তান এবং সীমার পঞ্চম সন্তান।
কন্যার জন্মে মুখরিত সচিন-সীমার আঙ্গিনা
সোমবার প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার পর সচিন ও তার পরিবার সীমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার সকাল ৪টায় তিনি এক সুস্থ কন্যার জন্ম দেন। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, জননী ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন এবং শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাবেন। সীমা ও সচিনের প্রেমকাহিনি ইতিমধ্যেই বেশ আলোচনায় ছিল। এখন কন্যার জন্ম এই পরিবারের গল্পে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। সচিন ও তার পরিবার এই নবজাতকের আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত।
সীমা হায়দারের ঘটনা আগেও আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্কের অংশ ছিল। তিনি ২০২৩ সালে নেপালের পথ ধরে অবৈধভাবে ভারতে এসেছিলেন এবং তখন থেকে এখানেই বসবাস করছেন। তাঁর আইনজীবী ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাঁর কন্যাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
সীমার যাত্রা ও নতুন ভবিষ্যৎ
সীমা ও সচিন এখনও পর্যন্ত তাদের কন্যার নাম প্রকাশ করেননি, তবে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শীঘ্রই একটি নামকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পরিবার এই মুহূর্তটিকে বিশেষ করে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা সীমা হায়দার তার চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। এখন তাঁর নবজাত কন্যা পরিবারের পঞ্চম সন্তান।
সীমা ভারতে আসার পর থেকেই তাঁর ঘটনা শিরোনামে ছিল, কিন্তু এখন তিনি একটি নতুন জীবনের সূচনা করছেন। সীমা ও সচিনের জন্য এই নবজাতক আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয়। পরিবার আশা করছে যে তাদের কন্যার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে এবং সে ভারতীয় সমাজে সম্মানজনক জীবন যাপন করবে।
