বুধবার রাতে লখনউতে পুলিশ দুটি পৃথক স্থানে দুষ্কৃতীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ডিসিপি সাউথ নিপুণ আগরওয়ালের মতে, ফায়ারিং ও বোমা হামলার অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রাক্তন সৈনিকের বাড়িতে হামলা করেছিল।
এনকাউন্টার: লখনউতে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ দুটি ভিন্ন স্থানে দুষ্কৃতীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ বেশ কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ডিসিপি সাউথ নিপুণ আগরওয়াল এবং ডিসিপি ইস্টার্ন শশাঙ্ক সিং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন।
প্রাক্তন সৈনিকের বাড়িতে হামলাকারী গ্রেপ্তার
ডিসি সাউথ জানান, ১৫ই ডিসেম্বর, বিধানসভায় কর্মরত এক প্রাক্তন সৈনিকের বাড়িতে কয়েকজন যুবক ফায়ারিং করে এবং পেট্রোল বোমা ছোড়ে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বিজয়নগর চৌকির কাছে সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেলে।
সংঘর্ষে এক দুষ্কৃতী আহত
পুলিশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে মহম্মদ শামীম নামে এক দুষ্কৃতীর পায়ে গুলি লাগে। শামীমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ধর্ষণ ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ আকাশ গৌতম নামে আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে, যার বিরুদ্ধে ১২টির বেশি মামলা রয়েছে।
গোমতী নগরে দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ
বুধবার গভীর রাতে গোমতী নগরের নীরজ চকের কাছে পুলিশ একটি অনিয়ন্ত্রিত গাড়িকে থামানোর চেষ্টা করে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুষ্কৃতীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে দুইজন দুষ্কৃতী আহত হয়, তবে দুইজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুষ্কৃতীদের নাম আমান সিং ও বীর যাদব।
২১শে ডিসেম্বরের লুটপাটে জড়িত
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আমান ও বীর ২১শে ডিসেম্বর দুটি লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতীরা বিপুল খণ্ডে এক দম্পতি এবং দয়াল প্যারাডাইসের কাছে অন্য একটি গাড়ির যাত্রীকে লক্ষ্য করে। অভিযুক্তরা গাড়ির কাঁচ ভেঙে গয়না, টাকা ও মোবাইল লুট করে।
পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে দেশি পিস্তল ও লুটের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধার করেছে। পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে কম্বিং অপারেশন চলছে। ডিসিপি জানান, বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ক্রমাগত অভিযান চালানো হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যে, পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে দুষ্কৃতীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই সংঘর্ষগুলি রাজধানীতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করেছে।