ইন্দোরে আইনজীবী-পুলিশ সংঘাত: হাইকোর্টের সামনে ব্যাপক প্রতিবাদ

🎧 Listen in Audio
0:00

ইন্দোরে একটা সাধারণ বিবাদ আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার পর শহরে হাইকোর্টের সামনে আইনজীবীরা ব্যাপক প্রতিবাদ করেছেন, যার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনাটি রাস্তায় একটা ঝগড়া দিয়ে শুরু হয়েছিল, যা পরে পুলিশি ব্যবস্থা ও প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ: ইন্দোরে মাছ ব্যবসায়ী রাজু ওরফে কালু গৌড় সকাল ১০:৩০ টায় স্কুটারে ডমরু উস্তাদ চৌরাহা থেকে সাদা মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কিছু ছেলে তার উপর রঙ ছুঁড়ে মারে, যার ফলে কালু গাড়ি থামিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এই সময় আইনজীবী অরবিন্দ জৈন সেখানে পৌঁছান, তখন কালু তাকে বলেন ছেলেদের বোঝানোর জন্য, যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

এই ঘটনার পর শহরে হাইকোর্টের সামনে আইনজীবীরা ব্যাপক প্রতিবাদ করেছেন, যার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনাটি রাস্তায় একটা ঝগড়া দিয়ে শুরু হয়েছিল, যা পরে পুলিশি ব্যবস্থা ও প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে।

কিভাবে বিবাদ শুরু হয়েছিল?

ঘটনাটি ঘটে যখন মাছ ব্যবসায়ী রাজু ওরফে কালু গৌড় তার স্কুটারে সাদা মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হোলি খেলতে থাকা ছেলেরা তার উপর রঙ ছুঁড়ে দেয়, যার ফলে তিনি গাড়ি থামিয়ে ছেলেদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এই সময় আইনজীবী অরবিন্দ জৈন সেখানে পৌঁছান, এবং তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে যে এই ঝগড়াটি হিংসাত্মক রূপ নেয়, এবং আইনজীবী অরবিন্দ জৈন তার ছেলে অপূর্ব ও অর্পিতকেও ডেকে আনেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যখন কালু গৌড় পুলিশে খবর দেন, তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পুলিশকর্মীদের সাথেও আইনজীবীদের ঝগড়া হয়।

পুলিশ FIR দায়ের করেছে, আইনজীবীদের প্রতিবাদ

CCTV ফুটেজ ও চিকিৎসা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ আইনজীবী অরবিন্দ জৈন, অপূর্ব জৈন এবং অর্পিত জৈনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ব্যবস্থার প্রতিবাদে আইনজীবীরা হাইকোর্টের সামনে প্রতিবাদ করে এবং পরদেশীপুরা থানা ঘেরাও করে। আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি তদন্ত না করেই FIR দায়ের করেছে এবং তাদের সাথে অশালীন ব্যবহার করেছে। একইসাথে আইনজীবীরা পুলিশের উপর একতরফা ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ আনেন।

আইনজীবীদের দাবি - পুলিশের সাথে মিলেমিশে থাকার অভিযোগ

অরবিন্দ জৈন পুলিশের উপর অভিযোগ করেন যে ব্যবসায়ী কালু গৌড়ের পুলিশের সাথে মিলেমিশে থাকার সম্পর্ক রয়েছে এবং তার দোকানে পুলিশকর্মীদের আসা-যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। তিনি দাবি করেন যে পুলিশ অসম্পূর্ণ CCTV ফুটেজ দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই পুরো ঘটনার পর জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কিছু পুলিশকর্মীকে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। একইসাথে আইনজীবীরা মারধরকারী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

হাইকোর্টের সামনে প্রতিবাদের সময় পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে আবার ঝড়ো সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ উঠেছে যে প্রতিবাদের সময় TI জিতেন্দ্র যাদবকে ঘিরে ধরে তাঁর উপর হামলা করা হয়। তবে, চিকিৎসা পরীক্ষায় তাঁর মদ্যপানের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। TI এই ঘটনা নিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এবং পুলিশ এখন ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত

বর্তমানে, পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে এই সংঘাত শান্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। আইনজীবীরা পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, অন্যদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার পর ইন্দোরে আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে বর্ধিত সংঘাত প্রশাসনকেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে এবং ঘটনাটি দ্রুত সমাধান করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Leave a comment