মন্ত্রী বিজয় শাহ কর্নেল সোফিয়া কুরেশির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের পর হাইকোর্টের এফআইআর আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ক্ষমা চেয়েছেন এবং দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছেন।
এমপি নিউজ: মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে দেওয়া তাঁর বিতর্কিত বক্তব্যের পরে বিষয়টি হাইকোর্টে পৌঁছেছে এবং এখন মন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আসুন জেনে নেই পুরো ঘটনা কী, কংগ্রেস কেন আক্রমণাত্মক এবং বিজয় শাহ কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
কী পুরো বিতর্ক?
মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় শাহ সম্প্রতি কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি অপারেশন সিন্দুরের প্রসঙ্গে কর্নেল সোফিয়াকে সেই সন্ত্রাসবাদীদের বোন বলে উল্লেখ করেছেন যারা পালগমে নিরীহদের হত্যা করেছিল। এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরও ব্যঙ্গ করে বলেছেন যে মোদী সন্ত্রাসবাদীদের বোনকে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়েছেন।
এই বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয় এবং বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
হাইকোর্ট নিজে থেকেই স্বীকার করে এফআইআরের নির্দেশ
বিষয়টি জটিল হয়ে উঠলে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট নিজে থেকেই স্বীকার করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়। এর পর মহুর মানপুর থানায় বিজয় শাহের বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৫২, ১৯৬(১)(বি) এবং ১৯৭(১)(সি) অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিজয় শাহ এখন সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেছেন। তিনি এফআইআর বাতিলের আবেদন করেছেন এবং তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। আবেদনে মন্ত্রী লিখেছেন যে তাঁর উদ্দেশ্য কারও অনুভূতিকে আঘাত করা ছিল না এবং তিনি যা বলেছেন তা আবেগের বশে বলেছেন।
মন্ত্রী বিজয় শাহ কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন?
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মন্ত্রী বিজয় শাহ পাবলিকলি ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন,"আমার বক্তব্যে কারও অনুভূতি আঘাত পেলে আমি মনেপ্রাণে ক্ষমা চাই। কর্নেল সোফিয়া কুরেশী আমাদের দেশের বোন, যিনি জাতীয় কর্তব্য পালন করে সমাজ ও জাতি থেকে উঠে সাবলীল কাজ করেছেন। আমি যা বলেছি তা দুঃখের মুহূর্তে বলেছি, যার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত।"
কংগ্রেস পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে, রাস্তায় প্রতিবাদ
এই বিতর্কে কংগ্রেস বিজয় শাহের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। ইন্দোর, ভোপাল, জবলপুরসহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন। বিরোধী দলের দাবি, বিজয় শাহের এই বক্তব্য সেনাবাহিনীর অপমান এবং তিনি মন্ত্রী পদে থাকার কোনো অধিকার রাখেন না।
