বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান আবারও মৃত্যুধমকি পেয়েছেন, যার ফলে মুম্বাইতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই হুমকিটি মুম্বাইয়ের ওয়রলির পরিবহন দপ্তরের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি বার্তার মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছিল।
সালমান খানকে মৃত্যুধমকি: বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের নিরাপত্তা আবারও প্রশ্নে। পরিস্থিতি আরও গুরুতর কারণ হল, হুমকিটি মুম্বাই ওয়রলি পরিবহন দপ্তরের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এক অজ্ঞাত ব্যক্তি সালমান খানের বাড়িতে ঢুকে তাকে হত্যা করার এবং তার গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। পুলিশ অবিলম্বে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে।
হুমকিপূর্ণ বার্তার ফলে আতঙ্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে ওয়রলি পরিবহন দপ্তরের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি বার্তা এসেছে, যাতে সালমান খানের জন্য সরাসরি এবং বিপজ্জনক হুমকি দেওয়া হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, "আমরা সালমানের গাড়ি উড়িয়ে দেব এবং তার বাড়িতে ঢুকে তাকে হত্যা করব।" হুমকির পর ওয়রলি পুলিশ তৎপর হয়ে একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসির গুরুতর ধারা অনুযায়ী একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
পূর্ববর্তী ঘটনাাবলী
• এটি প্রথমবার নয় যখন সালমান খান মৃত্যুধমকি পেয়েছেন।
• ২০১৪ সালের ১৪ই এপ্রিল, মোটরসাইকেলে দুইজন দুষ্কৃতী সালমানের গ্যালক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছিল।
• একটি গুলি তার বাড়ির দেওয়ালে লেগেছিল, এবং আরেকটি নিরাপত্তা জাল ভেদ করে ভেতরে ঢুকেছিল।
• এই গুলিবর্ষণের দায়িত্ব জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোয়ীর ভাই অমোল বিষ্ণোয়ী ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছিলেন।
• পরে গুলিবর্ষণে জড়িত উভয় দুষ্কৃতীকে গুজরাটের ভুজ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সালমান খানের প্রতিক্রিয়া - ‘জীবন পুরোপুরি উপভোগ করছি…’
সম্প্রতি, তার আসন্ন চলচ্চিত্র 'সিকান্দার'-এর প্রচারের সময়, সালমান খোলাখুলিভাবে এই ঘটনাগুলি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, "আমি জীবন পুরোপুরি উপভোগ করছি। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে আমার চলাচল এখন সীমিত; আমি শুধু গ্যালক্সি থেকে শুটিং লোকেশনে এবং ফিরে যাই। কিন্তু এত লোক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো একটু কঠিন।"
ক্রমাগত হুমকি এবং পূর্ববর্তী আক্রমণের কারণে, সালমান খান ইতিমধ্যেই Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ভোগ করছেন। এই সর্বশেষ হুমকির পর তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাই পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট, সাইবার সেল এবং এটিএসও তদন্তে যুক্ত হয়েছে।
