টাটা মোটরসের মার্চ ত্রৈমাসিক ফলাফলে ৫১% হ্রাস দেখা গেছে। ডিভিডেন্ডের পরেও শেয়ার নেমেছে। ব্রোকারেজ রিপোর্টে স্টক সম্পর্কে নেগেটিভ আউটলুক দেওয়া হয়েছে।
Tata Motors Share: টাটা গ্রুপের বিশাল অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরস মার্চ ত্রৈমাসিক (Q4FY25) এর ফলাফল প্রকাশ করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হতাশ করেছে। কোম্পানির একীভূত নেট লাভ ৫১% কমে ৮,৪৭০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। গত বর্ষে ৯,০০০ কোটি টাকার করের দায় স্থগিতাদেশ এবং এবার ৫৬৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ব্যয়ের কারণে এই হ্রাস দেখা গেছে।
ডিভিডেন্ড ঘোষণার পরেও শেয়ার নেমেছে
টাটা মোটরস তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৬ টাকা প্রতি শেয়ার ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, কিন্তু তারপরেও বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়নি। ফলাফলের পরে BSE-তে টাটা মোটরসের শেয়ার প্রায় ৩% কমে ৭০৭ টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন ডিভিডেন্ডের ফলে শেয়ারের দাম বাড়বে, কিন্তু ফলাফলের দুর্বলতা বেশি প্রভাব ফেলেছে।
রাজস্ব এবং EBITDA-তেও মন্দা
চতুর্থ ত্রৈমাসিকে কোম্পানির একীভূত রাজস্ব মাত্র ০.৫% বৃদ্ধি পেয়ে ১,১৮,৯২৭ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, EBITDA (Earnings Before Interest, Taxes, Depreciation and Amortization) ৪.১% কমে ১৬,৭০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এটি স্পষ্ট করে যে বর্ধিত ব্যয় এবং মন্দ চাহিদার প্রভাব কোম্পানির অপারেশনাল পারফরম্যান্সের উপর পড়েছে।
ব্রোকারেজ ফার্মের রিপোর্ট: বিনিয়োগকারীরা কি করবেন?
ফলাফলের পরে প্রধান ব্রোকারেজ হাউসগুলি টাটা মোটরস সম্পর্কে তাদের মতামত দিয়েছে, যা মিশ্রিত বলে মনে হচ্ছে।
Jefferies স্টকের রেটিং ‘Underperform’ ধরে রেখেছে এবং টার্গেট প্রাইস কমিয়ে ৬৩০ টাকা করেছে। তাদের মতে JLR (Jaguar Land Rover) এর দুর্বল মার্জিন কোম্পানির লাভজনকতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, Nuvama Institutional Equities তাদের রেটিং ‘Reduce’ ধরে রেখে টার্গেট প্রাইস ৬৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে। নুভামার মতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশীয় বাজারে চাহিদার মন্দা FY25 থেকে FY27 পর্যন্ত EBITDA বৃদ্ধিকে সীমিত রাখবে।
যদিও HSBC Securities স্টকের রেটিং ‘BUY’ থেকে ‘Hold’ করে দিয়েছে, কিন্তু টার্গেট প্রাইস বাড়িয়ে ৭৭০ টাকা করেছে। HSBC-এর মতে যাত্রীবাহী যানবাহন খাতে প্রতিযোগিতা এবং বাণিজ্যিক যানবাহনে ধীর উন্নতি কোম্পানির কর্মক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলছে।
কোম্পানির ফোকাস: ঋণমুক্ত এবং ব্যয় সাশ্রয়
টাটা মোটরসের গ্রুপ CFO পি.বি. বালাজী বলেছেন যে কোম্পানি এখন অটোমোবাইল ব্যবসায় ঋণমুক্ত (Debt-Free) হয়েছে, যার ফলে সুদের ব্যয় কমছে। কোম্পানির কৌশল এখন ব্যয় সাশ্রয় এবং অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধির উপর কেন্দ্রীভূত।