২০৩২ সালে ভারতে ১২.৩ কোটি ইলেকট্রিক যানবাহন: এক অভূতপূর্ব প্রতিবেদন

 ২০৩২ সালে ভারতে ১২.৩ কোটি ইলেকট্রিক যানবাহন:  এক অভূতপূর্ব প্রতিবেদন
সর্বশেষ আপডেট: 09-05-2025

প্রতিবেদনের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে ভারতে ১২.৩ কোটি ইলেকট্রিক যানবাহন থাকবে। পরিবেশ রক্ষা এবং নেট জিরো কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য অর্জনে ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার অপরিহার্য, যাতে সরকারের ফেম-২ স্কিম সহায়তা করছে।

প্রযুক্তি: ভারতে ইলেকট্রিক যানবাহন (EVs) -এর ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ১২.৩ কোটি ইলেকট্রিক গাড়ি রাস্তায় চলবে। এই প্রতিবেদনটি ইন্ডিয়া এনার্জি স্টোরেজ অ্যালায়েন্স (IESA) এবং কাস্টমাউইজড এনার্জি সলিউশনস (CES) যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে, যাতে ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

ইলেকট্রিক যানবাহনের বর্ধমান গুরুত্ব এবং পরিবেশের উপর প্রভাব

ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি ভারতে কার্বন নিঃসরণ কমানোতে সহায়ক হচ্ছে। একটি প্রতিবেদনের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% ইলেকট্রিক গাড়ির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে এবং ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের লক্ষ্য "নেট জিরো কার্বন নিঃসরণ" অর্জন করা। এর অর্থ হল ভারতকে দূষণ কমাতে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য উপকারী হবে না, এটি পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর নির্ভরতাও কমিয়ে দেবে। তদুপরি, ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে শক্তির ব্যবহারেও উন্নতি হবে, যা অবশেষে ভারতের শক্তি নীতিকে শক্তিশালী করবে। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পরিকল্পনা এবং উৎসাহের ফলে এই পরিবর্তন আরও গতি পাবে।

সরকারের পরিকল্পনার মাধ্যমে ইলেকট্রিক যানবাহনকে শক্তিশালী সমর্থন

ভারত সরকার ইলেকট্রিক যানবাহনকে উৎসাহিত করার জন্য ফেম-২ স্কিমের মতো নীতি তৈরি করেছে। এই স্কিমের অধীনে ইলেকট্রিক গাড়িতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে এই গাড়িগুলি কেনা আরও সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল মানুষকে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে আকৃষ্ট করা যাতে তারা ঐতিহ্যগত পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির তুলনায় এগুলি ব্যবহার করে। এছাড়াও, সরকার চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্যও সহায়তা প্রদান করছে, যাতে মানুষ সহজেই তাদের ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করতে পারে। এই পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে না, দূষণও কমবে। এই পরিকল্পনাটি দেশে পরিবেশ সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে।

ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির ভবিষ্যৎ: প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে?

ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা ২০৩২ সালের মধ্যে ১২.৩ কোটিতে পৌঁছানোর অনুমান করা হচ্ছে। IESA এবং CES-এর একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ে অনেক তথ্য সামনে এসেছে। প্রতিবেদনের মতে, ইলেকট্রিক দ্বিচক্রযান এবং ত্রিচক্রযানের অংশীদারিত্ব ৮০% পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, ব্যক্তিগত ইলেকট্রিক গাড়ির অংশীদারিত্ব ৩০%, বাণিজ্যিক গাড়ির ৭০%, এবং ইলেকট্রিক বাসের অংশীদারিত্ব ৪০% পর্যন্ত হতে পারে।

এই প্রতিবেদনটি আরও বলে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ভারতের রাস্তার নেটওয়ার্কে এগুলির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার দূষণ কমবে এবং পরিবেশকেও উপকার পাবে। এই সাথে, ভারতের কার্বন নিঃসরণ কমানোতেও সাহায্য করবে, যা নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

ভারতে ইলেকট্রিক যানবাহনের বর্ধমান প্রভাব: পরিবর্তনের পথে

ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে এবং আগামী কয়েক বছরে এই পরিবর্তন ব্যাপকভাবে দেখা যাবে। IESA এবং CES-এর প্রতিবেদনের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে ভারতে ১২.৩ কোটি ইলেকট্রিক গাড়ি রাস্তায় চলবে। বর্তমানে, ৯৩% ইলেকট্রিক গাড়ির মধ্যে দ্বিচক্রযান এবং ত্রিচক্রযান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ভারতে সবচেয়ে বেশি চলাচলকারী ইলেকট্রিক যানবাহন। তবে, ইলেকট্রিক গাড়ি এবং ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা এখনও খুব কম, তবে এগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৬ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির অংশীদারিত্ব ৬% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার অনুমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইলেকট্রিক বাস এবং ট্রাকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এই ক্ষেত্রে এখনও খুব কম যানবাহন রয়েছে। যেহেতু মানুষ ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে ঝুঁকবে, সেই সাথে এগুলির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। এই সাথে, FAME-২ স্কিম এবং চার্জিং স্টেশন নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার মতো সরকারের পরিকল্পনা এই পরিবর্তনে আরও ত্বরণ আনবে। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি শুধুমাত্র দূষণ কমবে না, ভারতের কার্বন নিঃসরণ কমানোতেও সাহায্য করবে।

EVs-কে এগিয়ে নেওয়ার পথ?

ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করার জন্য সরকার, শিল্প এবং ভোক্তাদের একত্রে কাজ করা প্রয়োজন। এতে শুধুমাত্র পরিবেশের উপকার হবে না, পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর নির্ভরতাও কমবে। এই সাথে, চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ যাতে মানুষ সহজেই তাদের গাড়ি চার্জ করতে পারে। এছাড়াও, মানুষকে ইলেকট্রিক গাড়ির সুবিধা এবং তাদের পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করাও প্রয়োজন। যদি আমরা সবাই মিলে এই দিকে পদক্ষেপ নিই, তাহলে ভারতে ইলেকট্রিক যানবাহনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

Leave a comment