শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিত্রা সেনানায়কে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে দোষী

শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিত্রা সেনানায়কে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে দোষী
সর্বশেষ আপডেট: 05-06-2025

ক্রিকেট জগতে আরও একবার দুর্নীতির কালো ছায়া ঘনীভূত হয়েছে। এবার নাম জড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন স্পিনার ও ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বিজয়ী দলের সদস্য সচিত্রা সেনানায়কে'র সাথে। হাম্বান্টোটা উচ্চ আদালত তাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

খেলাধুলা সংবাদ: ক্রিকেট জগৎ আবারও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগে কেঁপে উঠেছে। এবার ঘটনা জড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিত্রা সেনানায়কে'র সাথে, যাকে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ২০২০ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লীগের সাথে জড়িত, যখন সেনানায়কে'র উপর অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি তার এক সতীর্থ খেলোয়াড়কে ফিক্সিংয়ের জন্য প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পান।

সম্পূর্ণ ঘটনা কি?

এই ঘটনাটি ২০২০ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লীগের সাথে জড়িত, যখন সেনানায়কে'র উপর অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি তার এক সতীর্থ খেলোয়াড়কে ফিক্সিংয়ের জন্য প্ররোচিত করেছিলেন। সে সময় এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং তাকে গ্রেফতারও করা হয়, কিন্তু পরে ২০২৩ সালে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এখন, তদন্ত শেষ হওয়ার পর আদালত রায় দিয়েছে, যেখানে সেনানায়কেকে ফিক্সিংয়ের দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে।

মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সেনানায়কে কলম্বো কিংসের হয়ে খেলার সময় থারিন্দু রত্নায়কেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অ্যাটর্নি জেনারেল বিভাগও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, শ্রীলঙ্কার নতুন দুর্নীতিবিরোধী আইনের অধীনে এটিই প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ঝলক

সচিত্রা সেনানায়কে, যিনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, একসময় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্পিনার হিসেবে বিবেচিত হতেন। তিনি ৪৯টি ওয়ানডে ম্যাচে ৫৩ উইকেট এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়েছেন। তার বোলিংয়ে ছিল বৈচিত্র্য এবং তিনি বহুবার শ্রীলঙ্কাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।

তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার তখন চরমে ছিল যখন তিনি ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছিলেন। ওই টুর্নামেন্টে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং দলের সফল অভিযানের অংশ ছিলেন।

আইপিএল ক্যারিয়ার: কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথে যুক্ত

২০১৩ সালের আইপিএলে সেনানায়কেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) তাদের দলে যুক্ত করেছিল। তিনি ৮টি ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন এবং তার নিখুঁত বোলিং দিয়ে দলকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান দিয়েছিলেন। তার গড় ছিল ২৩.২২, যা আইপিএলে একজন বিদেশি স্পিনারের জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়। তবে, তার আইপিএল ক্যারিয়ার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এবং তিনি শীঘ্রই শ্রীলঙ্কায় ফিরে যান। কিন্তু কেকেআর এর মতো বড় ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ হওয়ার অভিজ্ঞতা তার ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ছিল।

Leave a comment