আরসিবির ঐতিহাসিক জয়: ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান

আরসিবির ঐতিহাসিক জয়: ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান
সর্বশেষ আপডেট: 04-06-2025

আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ রানে পাঞ্জাব কিংসকে পরাজিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ১৭ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আরসিবি তাদের প্রথম শিরোপা জিতে নিল। সমগ্র মৌসুমে দলটি অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ট্রফিতে দখল করেছে।

খেলাধুলার খবর: আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত रोमांचক ও ঐতিহাসিক হয়ে উঠেছে, যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে ১৭ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে এবং প্রথমবারের মতো আইপিএল ট্রফি নিজের করেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ক্রুণাল পান্ড্যা, যিনি তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচটিকে না শুধুমাত্র পাল্টে দিয়েছেন, বরং এমন একটি রেকর্ডও গড়েছেন যা আগে কোনো খেলোয়াড়ই করতে পারেনি।

আরসিবি-কে এনে দিল প্রথম শিরোপা, বল দিয়ে করলো কীর্তি

চেন্নাইয়ের এম.এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল ম্যাচে আরসিবি প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯০ রান তোলে। যখন পাঞ্জাব কিংসের দল লক্ষ্য তাড়া করতে নামে, তখন সকলের দৃষ্টি ছিল তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের উপর। কিন্তু আরসিবির জন্য ক্রুণাল পান্ড্যা সঙ্কটমোচক হিসেবে আবির্ভূত হন, যিনি শুধুমাত্র রান রোখার কাজই করেননি, বরং দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও নেন।

ক্রুণাল তার ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৭ রান দিয়ে জোস ইংলিশ এবং প্রভসিমরন-এর মতো বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দেন। তার বোলিং এতটাই নিখুঁত ছিল যে পাঞ্জাবের রান রেট থেমে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা লক্ষ্য থেকে ৬ রানে পিছিয়ে থাকে।

আইপিএল ইতিহাসে দুইবার ফাইনালের ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ জয়ী প্রথম খেলোয়াড়

ক্রুণাল পান্ড্যাকে তার চমৎকার বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত করা হয়। এই পুরষ্কারের সাথে সাথে তিনি একটি অনন্য রেকর্ডও নিজের নামে করে নেন। ক্রুণাল এখন আইপিএল ইতিহাসে এমন প্রথম খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন যিনি দুটি ভিন্ন ভিন্ন ফাইনাল ম্যাচে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ এর খেতাব নিজের করেছেন। এর আগে ২০১৭ সালের ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সময় তিনি রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে এই পুরষ্কার জিতেছিলেন।

আইপিএল ২০২৫-এ ক্রুণালের যাত্রা কেমন ছিল?

সমগ্র মৌসুমের কথা বললে ক্রুণাল পান্ড্যার পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত সুষম ও প্রভাবশালী। তিনি মোট ১৫টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ব্যাট ও বল দুই দিয়েই কার্যকর অবদান রেখেছেন। ১৫ ম্যাচে ৭ ইনিংসে তিনি মোট ১০৯ রান করেছেন। তার সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৭৩ রান, যা তিনি একটি কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে সঙ্কট থেকে উদ্ধার করে করেছিলেন।

তিনি ১৫ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। তার গড় ২২.২৯ এবং ইকোনমি রেট ৮.২৩। এই মৌসুমে তার সর্বোচ্চ বোলিং পারফরম্যান্স ছিল ৪৫ রানে ৪ উইকেট লাভ। এই মৌসুমে বেশ কয়েকটি সুযোগে তিনি মিডিল ওভারে রান রোখা এবং উইকেট নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তার দলকে শক্তিশালী করেছেন। বিশেষ করে ফাইনালে তার অভিজ্ঞতা ও সংযম দেখিয়ে দিয়েছে কেন তাকে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় বলা হয়।

Leave a comment