মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫-এর ৫৬তম ম্যাচে দর্শকরা রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনাপূর্ণ এক লড়াই উপভোগ করেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষ থেকে জসপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্ট এবং অশ্বিনী কুমার অসাধারণ বোলিং করেছিলেন।
খেলাধুলার খবর: আইপিএল ২০২৫-এর ৫৬তম ম্যাচে যখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাট টাইটান্স ওয়াংখেড়ের মাঠে মুখোমুখি হয়, তখন সবার নজর ছিল জসপ্রীত বুমরার উপর। আর একবার আবার এই অভিজ্ঞ দ্রুত বোলার তার পারফরম্যান্স দিয়ে ক্রিকেট প্রেমীদের অবাক করে দিয়েছেন। যদিও মুম্বাই এই ম্যাচে জিততে পারেনি, তবে জসপ্রীত বুমরা এমন এক ঐতিহাসিক স্থান অর্জন করেছেন যা অন্য বোলারদের জন্য এখনও অনেক দূরের কথা। তিনি আইপিএল ইতিহাসে ডেথ ওভারে (১৬তম থেকে ২০তম ওভার) সবচেয়ে বেশি ডট বল করা প্রথম বোলার হয়েছেন।
বোলারদের জন্য আদর্শ হিসেবে বুমরা
এই ম্যাচে জসপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু যা তাকে বিশেষ করে তোলে তা হল ডেথ ওভারে তার নির্ভুলতা এবং নিয়ন্ত্রণ। এই ম্যাচে তিনি ডেথ ওভারে ৬টি ডট বল সহ মোট ১৫টি ডট বল করেছেন এবং এভাবেই তিনি ডেথ ওভারে ৪০০ ডট বলের ঐতিহাসিক রেকর্ড অতিক্রম করেছেন। এই কৃতিত্ব আগে কোনও বোলারেরই ছিল না।
বুমরার পর এই তালিকায় ভুবনেশ্বর কুমার (৩৬৫), ডোয়েন ব্রাভো (৩৪৫), লসিথ মালিঙ্গা (৩২৩) এবং সুনীল নারিন (২৭৯) এর মতো নাম রয়েছে, কিন্তু তারা সবাই বুমরার থেকে অনেক পিছনে। এটি স্পষ্ট করে যে বুমরা কেবলমাত্র ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন তাই নয়, বরং তার দলের জন্য শেষ ওভারগুলিতে সবসময় গেম-চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করেছেন।
- জসপ্রীত বুমরা - ৪০২
- ভুবনেশ্বর কুমার - ৩৬৫
- ডোয়েন ব্রাভো - ৩৪৫
- লসিথ মালিঙ্গা - ৩২৩
- সুনীল নারিন - ২৭৯
মুম্বাইয়ের পরাজয়, বুমরার বিজয়
ওয়াংখেড়ে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করে। ব্যাটিংয়ে কোনও খেলোয়াড়ই বড় স্কোর করতে পারেনি, কিন্তু ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলে দল একটি সম্মানজনক স্কোর তৈরি করে। গুজরাটের শুরুটা হয় দুর্বল, যখন বুমরা তার প্রথম ওভারেই সাই সুদর্শনকে আউট করে দেন। এরপর অধিনায়ক শুভমন গিল এবং জোস বুটলারের মধ্যে ৭২ রানের জুটি গুজরাটের ইনিংসকে স্থিরতা দেয়।
বৃষ্টি ম্যাচে বাধা প্রদান করে এবং খেলা থেমে যাওয়ার পর বুমরা আবার এসে শুভমন গিল এবং শাহরুখ খানকে আউট করেন। ট্রেন্ট বোল্ট শরফেন রাদারফোর্ডকে আউট করে মুম্বাইয়ের ফিরে আসার আশা জাগ্রত করেন। কিন্তু যখন ম্যাচ আবার শুরু হয়, তখন ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি অনুযায়ী গুজরাটকে এক ওভারে ১৫ রানের দরকার ছিল। গিলের দল ১৯তম ওভারের শেষ বলে এই লক্ষ্য অর্জন করে এবং তিন উইকেটে জয়ী হয়।