ইংল্যান্ডের ইনিংস ও ৪৫ রানের জয়: জিম্বাবুয়েকে ২২ বছর পর পরাজয়

ইংল্যান্ডের ইনিংস ও ৪৫ রানের জয়: জিম্বাবুয়েকে ২২ বছর পর পরাজয়
সর্বশেষ আপডেট: 25-05-2025

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল একমাত্র টেস্ট ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস এবং ৪৫ রানে পরাজিত করে চমৎকার জয় অর্জন করেছে। এই জয় ইংল্যান্ডের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ দুই দলের মধ্যেকার গত টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল ২০০৩ সালে, অর্থাৎ পুরো ২২ বছর পর দুটি দল টেস্ট ক্রিকেটে आमने-সামনে এসেছে।

খেলাধুলা সংবাদ: ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করে ২২ বছর পর আবারও জিম্বাবুয়েকে টেস্ট ম্যাচে ব্যাপক পরাজয়ের মুখোমুখি করেছে। এই একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ইংলিশ দল জিম্বাবুয়েকে ইনিংস এবং ৪৫ রানে হারিয়ে তাদের আধিপত্য প্রমাণ করেছে। এই জয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছে ইংল্যান্ডের তিনটি চমৎকার শতরান এবং তরুণ স্পিনার শোয়েব বশিরের অসাধারণ পারফরম্যান্স। বশির মোট ৯ উইকেট নিয়েছেন এবং 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' খেতাব অর্জন করেছেন।

২২ বছর পর মুখোমুখি, ২২ বছরের পুরোনো হিসাব চুকানো

২০০৩ সালের পর প্রথমবার ইংল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলের মুখোমুখি হয়, এবং আবারও ইংল্যান্ড জয়ের পতাকা উড়িয়েছে। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে ৫৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে এবং পরে দুটি ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ এবং ২৫৫ রানে আটকে রাখে। ইংল্যান্ডের শুরু অত্যন্ত চমৎকার ছিল। ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি এবং বেন ডাকেট প্রথম উইকেটের জন্য ২৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্তিশালী শুরু দিয়েছিল। ক্রাউলি ১২৪ রান করেছেন, যার মধ্যে ১৮টি চার রান রয়েছে, যখন ডাকেট তীব্রতার সাথে ১৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন।

তৃতীয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওলি পোপ যেন ব্যাটিংয়ের নতুন সংজ্ঞাই গড়ে তুলেছেন। তিনি ১৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন, যার মধ্যে ২৪টি চার এবং ২টি ছক্কা রয়েছে। তার ব্যাটিংয়ের ফলে ইংল্যান্ড ইনিংসকে এমন এক স্থানে নিয়ে গেছে, যেখান থেকে ফিরে আসা জিম্বাবুয়ের জন্য অসম্ভব মনে হয়েছে। হ্যারি ব্রুক ৫৮ রান করে পাকে আরও শক্তিশালী করেছেন। ইংল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।

শোয়েব বশিরের স্পিনের জাদু

ইংল্যান্ডের এই জয়ে বোলিংয়ের ভূমিকাও ব্যাটিংয়ের সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে তরুণ স্পিনার শোয়েব বশির প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ধারা সম্পূর্ণ ইংল্যান্ডের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। বশির কেবল রান রোধ করেননি, বরং নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের কمر ভেঙে দিয়েছেন। তার অসাধারণ বোলিংয়ের ফলে জিম্বাবুয়ের দল দ্বিতীয় ইনিংসে সামলাতে পারেনি এবং ২৫৫ রান করে অলআউট হয়েছে।

জিম্বাবুয়ের পক্ষ থেকে ব্রায়ান বেনেট এবং সীন উইলিয়ামস যুদ্ধ করেছেন

যদিও পরাজয়ের পরও ব্রায়ান বেনেট প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলে দর্শকদের মনে ছাপ রেখেছেন। তার বাইরে ক্যাপ্টেন ক্রেইগ ইরভিন (৪২ রান) এবং অভিজ্ঞ সীন উইলিয়ামস (২৫ রান) কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সিকান্দার রাজা (৬০ রান) এবং সীন উইলিয়ামস (৮৮ রান) যুদ্ধ করেছেন, কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন এবং দল মাত্র ২৫৫ রানে সীমাবদ্ধ থেকেছে।

ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নেওয়া শোয়েব বশির তার ক্যারিয়ারের সর্বোত্তম পারফরম্যান্স করেছেন এবং 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' খেতাব অর্জন করেছেন। তার স্পিন এবং নিয়ন্ত্রণ জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে রেখেছে।

Leave a comment