ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে আইপিএল ২০২৫-এ দিল্লি ও পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। সুরক্ষা বিবেচনার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর পরে বাকি ম্যাচগুলিও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খেলাধুলার খবর: আইপিএল ২০২৫-এ দিল্লি ক্যাপিটালস এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে ধর্মশালায় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচ বাতিল হওয়ার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে আইপিএল-এর সম্পূর্ণ সিজন স্থগিত করা হয়েছে। এই মৌসুমে মোট ৭৪টি ম্যাচের আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু দিল্লি ও পাঞ্জাবের ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি বিসিসিআই-এর জন্য নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, বিশেষ করে বাকি ম্যাচগুলি আয়োজনের জন্য একটি সময়সূচী বের করার ক্ষেত্রে।
বিসিসিআই-এর জন্য সময়সূচী নির্ধারণের চ্যালেঞ্জ
আইপিএল ২০২৫ সিজন স্থগিত হওয়ার পরে বিসিসিআই-এর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো লীগের বাকি ১৬টি ম্যাচ কবে আয়োজন করা যাবে। যেহেতু আইপিএল-এর মোট ৭৪টি ম্যাচের মধ্যে ৫৮টি ম্যাচ ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, দিল্লি এবং পাঞ্জাবের ম্যাচ পুনরায় হলে আরও ১৭টি ম্যাচ করতে হবে। এই ম্যাচগুলি আয়োজনের জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে, যার মধ্যে ১২টি গ্রুপ ম্যাচ এবং ৪টি প্লে-অফ ম্যাচ অন্তর্ভুক্ত। বিসিসিআই-কে এই ম্যাচগুলির জন্য একটি সময়সূচী তৈরি করতে হবে, যা ভারতের আসন্ন আন্তর্জাতিক সময়সূচীর সাথে মিলবে।
ভারতের আন্তর্জাতিক সময়সূচীর চ্যালেঞ্জ
ভারতের আন্তর্জাতিক সময়সূচী বেশ ব্যস্ত, এবং আইপিএল-এর জন্য সময় বের করা বিসিসিআই-এর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। আইপিএল-এর পরে ভারতকে ২০ জুন থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫টি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলতে হবে। এর পরে ১৭ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে হবে। এই সিরিজগুলির পরে সেপ্টেম্বরে ভারতকে এশিয়া কাপ খেলতে হবে, যা পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
আইপিএল স্থগিত হওয়ার পরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো ভারতের জন্য কখন সময়সূচী পাওয়া যাবে, কারণ এর পরে ক্রিকেটের অন্যান্য অনুষ্ঠানও নির্ধারিত আছে। ভারতের ইংল্যান্ড সফর ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এবং আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এর পরে বাংলাদেশের সাথে সিরিজ হবে এবং সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর আয়োজনও হবে। এশিয়া কাপের পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ পাকিস্তানের সাথে বর্ধিত উত্তেজনার কারণে এই টুর্নামেন্টের উপরও সংকটের ছায়া পড়ে আছে।
- ২০ জুন থেকে ০৪ আগস্ট - ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫টি টেস্ট ম্যাচ
- ১৭ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট - বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি
- সেপ্টেম্বর - এশিয়া কাপ ২০২৫
- ২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর - ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২টি টেস্ট
- ১৯ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর - অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে এবং ৫টি টি-টোয়েন্টি
- ১৪ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর - দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে এবং ৫টি টি-টোয়েন্টি
অন্যান্য দেশের সময়সূচী
এই সময় অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডও তাদের ঘরোয়া সিরিজ আয়োজন করতে পারে এবং আগস্ট মাসে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দলগুলির সময়সূচীও ব্যস্ত থাকবে। এই কারণে ভারতের জন্য এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে উঠেছে। ভারতকে তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট দলের ম্যাচগুলিও মাথায় রেখে আইপিএল-এর জন্য সময় বের করার প্রয়োজন হবে।
আরেকটি সমস্যা হল আইপিএলের ম্যাচগুলি অন্যান্য ক্রিকেট সিরিজের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে হবে। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সিরিজও অনুষ্ঠিত হবে, যখন ভারতকে এশিয়া কাপ খেলতে হবে। এইভাবে, বিসিসিআই-কে এই ম্যাচগুলির জন্য একটি উপযুক্ত সময়সূচী বের করতে অসুবিধা হতে পারে।