আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে চমৎকার পারফর্ম্যান্স করেছে। প্রথমে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ রান করে। যদিও এ স্কোর খুব বড় ছিল না, তবে আফগানিস্তানের বোলাররা এটাকে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের দলের শুরু খারাপ ছিল এবং পুরো দল ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে।
খেলা সংবাদ: আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আজ, ৯ নভেম্বর, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচের শুরু ভারতীয় সময় বিকেল ৩:৩০ টায় হবে। প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান চমৎকার পারফর্ম্যান্স করে বাংলাদেশকে ৯২ রানে হারিয়েছে, যার ফলে তারা সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদী, যখন বাংলাদেশের নেতৃত্বে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের দল আজ জয় করে সিরিজে অপরাজেয় অগ্রগতি পেতে চাইবে, যখন বাংলাদেশের দল এই ম্যাচে ফিরে আসার এবং সিরিজকে সমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।
প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের চমৎকার জয়
প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু তাদের শুরু খুবই খারাপ ছিল। শুরুর ৩৫ রানে তাদের চারজন প্রধান ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়ন ফিরে গেছে, যার ফলে দলের উপর চাপ বেড়ে গেছে। তবে পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা কিছু রান যোগ করেছে, কিন্তু পুরো দল ৪৯.৪ ওভারে মাত্র ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের দলকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাদেরও শুরুতেই উইকেট পড়তে শুরু করে। মাত্র ১২ রানে বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেট হারিয়েছে। এর পর আফগানিস্তানের বোলাররা বাংলাদেশের উপর ক্রমাগত চাপ বজায় রেখেছে এবং তাদের বেশি রান করতে দেয়নি। বাংলাদেশের পুরো দল ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ১৩৪ রান করে অলআউট হয়ে গেছে, যার ফলে আফগানিস্তান এই ম্যাচটি ৯২ রানে জিতে নিয়েছে।
এই তারকাদের উপর থাকবে সকলের নজর
* রহমানুল্লাহ গুরবাজ: আফগানিস্তানের বিস্ফোরক ওপেনার, যিনি গত ১০ ম্যাচে ৪৫৩ রান করেছেন, তার গড় ৪৫.৩ এবং স্ট্রাইক রেট ৯৩.২। গুরবাজের দ্রুত রান করার ক্ষমতা আফগানিস্তানকে শক্তিশালী শুরু দিতে সাহায্য করবে।
* রশিদ খান: আফগানিস্তানের মারাত্মক স্পিনার, যিনি গত ৪ ম্যাচে ৩.২১ ইকোনোমির সাথে ১১ উইকেট নিয়েছেন। তার নিখুঁত লাইন ও লেন্থ প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
* মোহাম্মদ নবী: অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার, যিনি গত ৯ ম্যাচে ৩.৯৮ ইকোনোমি এবং ৪১.৮১ স্ট্রাইক রেটের সাথে ১১ উইকেট নিয়েছেন। নবীর অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কাজে লাগবে।
* নাজমুল হোসেন শান্ত: বাংলাদেশের অধিনায়ক এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান, যিনি গত ১০ ম্যাচে ৪২১ রান করেছেন। তার ৫২.৬৩ গড় এবং ৯০.৩৪ স্ট্রাইক রেট দলের জন্য স্থায়িত্ব দেবে।
* সৌম্য সরকার: বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান, যিনি গত ৭ ম্যাচে ৫৫.৪ গড় এবং ৯৫.১৮ স্ট্রাইক রেটে ২৭৭ রান করেছেন। তার ফর্ম দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
* তাসকিন আহমেদ: বাংলাদেশের প্রধান পেসার, যিনি গত ৭ ম্যাচে ৫.২৩ ইকোনোমির সাথে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। তার আক্রমণাত্মক বোলিং বাংলাদেশের জন্য একটি শক্তিশালী অস্ত্র।
দুটি দলের সম্ভাব্য প্লেয়িং XI
আফগানিস্তানের দল: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সেদিকুল্লাহ আতাল, রহমত শাহ, হাশমাতুল্লাহ শাহিদী (অধিনায়ক), আজমতুল্লাহ উমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, আল্লাহ গজানফর, নঙ্গিয়াল কারোটে এবং ফজলহক ফারুকি।
বাংলাদেশের দল: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদুল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম।