রাজস্থান হাইকোর্ট ২০২১ সালের সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীনতার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আদালত এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের সম্ভাবনাও ব্যক্ত করেছে এবং সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
রাজস্থান এসআই পরীক্ষা বিতর্কে হাইকোর্টের কঠোর অবস্থান
রাজস্থানে ২০২১ সালের সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে চলমান বিতর্কের কোনও সমাধান বেরোচ্ছে না। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজস্থান হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময় বিচারপতি সমীর জৈন রাজ্য সরকারের উদাসীন রুখের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সিবিআই তদন্তের সম্ভাবনাও ব্যক্ত করেন।
শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী বারবার দাবি করেন যে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে, কিন্তু বিচারপতি সমীর জৈন এর উপর কঠোর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "যদি সরকারের তদন্ত সঠিক দিকে না এগোচ্ছে, তাহলে এই মামলার তদন্ত সিবিআই-কে দেওয়ার কথা কেন ভাবা উচিত নয়?"
আদালত সরকারকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মাত্র এক মাস নয়, বরং দুই মাস সময় দিয়েছে। বিচারপতি সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই সময়ের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতকে অবহিত করতে হবে।
কঠোর মন্তব্য এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
আদালত সরকারের রুখের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে এবং বলেছে যে, স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও সরকার প্রশিক্ষণার্থী এসআই-দের ফিল্ড ট্রেনিং-এ পাঠিয়েছে। এছাড়াও, বিচারপতি সমীর জৈন এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, এই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র এখনও পর্যন্ত কেন জমা দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি স্পষ্টতই সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি সরকারের রুখ এমনই থাকে, তাহলে এই মামলা সরকারের বিরুদ্ধে যাবে।
আদালত প্রশ্ন তুলেছে
শুনানির সময় বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেছেন যে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ভিন্ন ভিন্ন কথা কেন বলা হচ্ছে। বিচারপতি সরকারি আইনজীবী এবং অতিরিক্ত মহাধিবক্তা বিজ্ঞান শাহকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, যখন এসআইটি এবং মহাধিবক্তার মতামত আলাদা, তখন আদালতে অন্য কথা কেন বলা হচ্ছে। এই সাথে বিচারপতি এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, যখন কোনও মিটিংয়ের 'মিনিটস অফ মিটিং' তৈরি করা হয়, তখন এই মামলায় তা কেন করা হয়নি?
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যার ফলে আদালতের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
সিবিআই তদন্তের সম্ভাবনা বেড়েছে
আদালত সরকারের কাছে আশা করেছে যে, তারা শীঘ্রই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। এখন পরবর্তী শুনানিতে স্পষ্ট হতে পারে যে, হাইকোর্ট এই পুরো মামলাটি সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দেবে কি না।
সরকারের রুখ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এবং আদালতের ক্ষোভ এই দিকে ইঙ্গিত করছে যে, এই মামলাটি শীঘ্রই কোনও স্পষ্ট ফলাফলে পৌঁছাবে। এখন দেখার বিষয় হলো রাজ্য সরকার এই মামলায় কী পদক্ষেপ নেয় এবং হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কি না।
