আমেরিকা কানাডা ও মেক্সিকোতে ২৫% এবং চীনে ২০% ট্যারিফ আরোপ করেছে। এর প্রতিদানে চীন আমেরিকান আমদানি পণ্যের উপর ১০-১৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন-চীন ট্যারিফ যুদ্ধ: আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আবারও বেড়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার কানাডা ও মেক্সিকোতে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। একইসাথে আমেরিকা চীনকেও অর্থনৈতিক আঘাত করে চীনা আমদানির উপর ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর চীনও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আমেরিকান পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
আমেরিকা চীনের উপর ট্যারিফ বৃদ্ধি করেছে
আমেরিকা চীনা পণ্যের আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে। আমেরিকান সরকারের দাবি, দেশীয় উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমেরিকার মতে, চীনের বাণিজ্য নীতি আমেরিকান কোম্পানিগুলির জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে, তাই ট্যারিফ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
চীনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ
আমেরিকার এই পদক্ষেপের পরপরই চীন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বেশ কিছু আমেরিকান পণ্যের উপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। চীনা সরকার জানিয়েছে, আমেরিকা থেকে আমদানি করা সয়াবিন, সুকর ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, আর আমেরিকান মুরগি, গম, ভুট্টা ও কাপড়ের উপর ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
১০ মার্চ থেকে কার্যকর হবে নতুন ট্যারিফ
চীনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, এই অতিরিক্ত শুল্ক ১০ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও গভীর হতে পারে। চীন আমেরিকার উপর অভিযোগ করে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-এর নিয়মের লঙ্ঘন করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যকে অস্থির করে তুলতে পারে।
চীনের আমেরিকার উপর আক্রমণ
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমেরিকার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত কেবল WTO-এর নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চীন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে।
