কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি ভারতের সাথে বাণিজ্যিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষে এবং এমন সুযোগগুলি কাজে লাগাতে কোনো কার্পণ্য করবেন না।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি: কানাডার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর এবং প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী মার্ক কার্নি সম্প্রতি কানাডা-ভারত সম্পর্ক নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তিনি ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নত এবং বাণিজ্যিক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এই বক্তব্যটি তাঁর পূর্বসূরী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্যের বিপরীত ছিল, যিনি সম্প্রতি ভারত সম্পর্কিত বিতর্কের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে।
ভারত-কানাডা সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি
মার্ক কার্নি ক্যালগারিতে এক বক্তব্যে বলেছেন, "যদি আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আমি ভারতের সাথে কানাডার সম্পর্ক উন্নত এবং শক্তিশালী করার জন্য কাজ করব। বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ মূল্যবোধ থাকা উচিত এবং আমি এই দিকে পদক্ষেপ নিতে কোনো কার্পণ্য করব না।" এই বক্তব্যটি কানাডার শাসক লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন যে কানাডাকে একই মতাদর্শের দেশগুলির সাথে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করা উচিত। কার্নির মতে, ভারতীয় এজেন্ট এবং কানাডায় খালিস্তান সমর্থক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
ট্রুডোর বিতর্কের বিপরীতে
মার্ক কার্নির বক্তব্যটি ভারতীয় ও কানাডীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনার মধ্যে এসেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে ভারতীয় এজেন্টরা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে বলেছে যে কানাডা এই অভিযোগের কোনো বাস্তব প্রমাণ দাখিল করেনি। এর পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং উভয় দেশই তাদের কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
যাইহোক, মার্ক কার্নির বক্তব্য ইঙ্গিত করে যে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য নতুন উদ্যোগের পক্ষে।
মার্ক কার্নির অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি
মার্ক কার্নির বক্তব্য ভারতীয় এবং কানাডীয় উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গোল্ডম্যান স্যাক্সের প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর কার্নির বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির গভীর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী মন্দার সময় কানাডাকে সংকট থেকে উদ্ধার করার কৃতিত্ব তাঁর। এর পরে তিনি ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও ছিলেন। কার্নি এর আগে লন্ডন, টোকিও, নিউইয়র্ক এবং টরন্টোতে ১৩ বছর কাজ করেছেন।