ইসরাইলের সংসদ একটি বিল পাশ করেছে, যার ফলে বিচারক নিয়োগে রাজনীতিকদের অধিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। বিরোধী দল এটিকে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে, আর সরকার এটিকে অপরিহার্য বলে দাবি করেছে।
ইসরাইল-সংসদ: ইসরাইলের সংসদ বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল অনুমোদন করেছে, যা বিচারক নিয়োগে রাজনীতিকদের অধিক ক্ষমতা প্রদানের ব্যবস্থা করে। এই বিল অনুসারে, বিচারক নিয়োগের জন্য গঠিত কমিটিতে সরকার ও বিরোধী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা থাকবেন, যারা আগে ইসরাইল বার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। এই বিলের উদ্দেশ্য ইসরাইলের न्यायपालিকাকে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে আনা, এবং এ নিয়ে প্রতিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিচারক নিয়োগ কমিটিতে পরিবর্তন
এই নতুন বিল অনুসারে, বিচারক নিয়োগের জন্য গঠিত কমিটির সদস্যরা अब কেবল ইসরাইল বার অ্যাসোসিয়েশন থেকেই নয়, বরং সরকার ও বিরোধী দলের দ্বারা নির্বাচিত হবেন। আগে এই কমিটি সম্পূর্ণরূপে न्यायपालिका ও অন্যান্য আইনি প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত হত। এখন, সরকারী প্রতিনিধি এবং বিরোধী নেতাদের এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এই পদক্ষেপকে ‘সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ কমানো’ হিসেবে উপস্থাপন করছে।
বিরোধী দলের প্রতিবাদ
বিরোধী দলগুলি এই বিলকে ইসরাইলের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি বড় আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, এই পরিবর্তন न्यायपालিকার স্বাধীনতা বিলুপ্ত করার এবং न्याয়িক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই বিলের প্রতিবাদে অনেক বিরোধী দল সংসদে ভোটগ্রহণ থেকে নিজেদেরকে আলাদা রেখেছে।
সরকারের পক্ষ
ন্যায়মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন এই বিলের সমর্থন করে বলেছেন, এই আইন পরবর্তী সংসদের कार्यकाल থেকে কার্যকর হবে এবং এর উদ্দেশ্য নির্বাচন কমিটি গঠনে আরও ভারসাম্য ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। তিনি বলেছেন, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে যোগ্য ও ক্ষমতাশালী বিচারক নির্বাচিত হবে, এবং কোন বিচারককে তাদের ব্যক্তিগত মতামতের কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হবে না।
বিল পাশের পর প্রতিবাদ বৃদ্ধি
এই বিল পাশ হওয়ার সাথে সাথেই ইসরাইলে প্রতিবাদ আরও তীব্র হয়েছে। তেল আবিবে একটি বিক্ষোভের সময় রনি মালমুক বলেছেন, "এই দিন ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ সরকার এমন একটি আইন পাশ করেছে যা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভকে দুর্বল করে তুলতে পারে।" তিনি বলেছেন যে এই আইন এখন একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে উঠেছে এবং এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
সরকারের দাবি, এই বিল এবং অন্যান্য ব্যবস্থা সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ কমানো এবং সংসদের কাজ স্বাধীনভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয়। সরকার মনে করে, এই পরিবর্তনের ফলে न्यायपालিকার আরও স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হতে পারে। এর সমালোচকরা এটিকে न्यायपालিকার অধিকারের উপর আক্রমণ বলে মনে করেন এবং এটিকে সরকারের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদানের চেষ্টা বলে মনে করেন।