পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি ব্রাসেলস সফরে ভারতের সাথে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, দুই দেশের সকল বিরোধ শুধুমাত্র সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব।
পাকিস্তান: ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘেয়েমি পরে পাকিস্তানের ভিতরে আন্দোলন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পর এবার পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারিও ভারতের সাথে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ব্রাসেলস সফরকালে বলেছেন যে সকল বিরোধের সমাধান শুধুমাত্র পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
পাকিস্তানের নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত
ভারতের সাথে সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং বিশ্বব্যাপী চাপের ফলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিতে এখন একটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগে আক্রমণাত্মক ভাবাপন্ন পাকিস্তান এখন শান্তিপূর্ণ সংলাপের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং এখন পিপিপি (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) সভাপতি বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারির ভারতের সাথে আলোচনার আহ্বান এই পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত।
বিলাওয়াল ভুট্টোর আলোচনার আহ্বান
পাকিস্তানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বর্তমান পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি সম্প্রতি ব্রাসেলসে একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের সাথে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যতগুলি বিরোধ রয়েছে, তার সমাধান শুধুমাত্র ‘comprehensive dialogue’ অর্থাৎ ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
বিলাওয়াল জোর দিয়ে বলেছেন যে দুই দেশকে ভবিষ্যৎদিকে তাকাতে হবে এবং পারস্পারিক সমস্যার সমাধান শান্তি ও কূটনীতির মাধ্যমে করতে হবে।
ব্রাসেলসে ডিডাব্লু উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকার
বিলাওয়াল ভুট্টো ব্রাসেলসে জার্মান মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ডিডাব্লু উর্দুকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে পাকিস্তান ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণ ও সৃজনশীল সংলাপ চায়। এই সাক্ষাৎকারটি তখন প্রকাশিত হয় যখন তিনি পাকিস্তানী সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ইউরোপ সফরে ছিলেন।
তিনি বলেছেন, "যদি ভারত আলোচনার জন্য প্রস্তুত না হয়, তাহলে তা নিজের জন্যই ক্ষতিকারক হবে। আমরা সমস্যাগুলি যুদ্ধ বা সংঘাতের মাধ্যমে নয়, বরং সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করতে চাই।"
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানের কৌশল
বিলাওয়ালের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদ, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে। ভারত যেভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে, তার তুলনায় পাকিস্তানের ভাবমূর্তি দুর্বল হয়েছে।
এই বিষয়টি বিবেচনা করে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার এবং কূটনৈতিক নেতৃত্ব এখন বিদেশে ‘Damage Control’ কৌশল অবলম্বন করছে। ভারতের মতো তারাও এখন বিশ্ব মঞ্চে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে নিজেদের পক্ষকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
