কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ট্রাম্প ও পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মিলনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকাকে ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা ভুলে গেলে চলবে না।
দিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত দুপুরের ভোজন সভার প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকাকে ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তান কর্তৃক আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা ভুলে গেলে চলবে না। এইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে ট্রাম্প এই সাক্ষাতের সময় পাকিস্তান প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত সাক্ষাত
বুধবার আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ও পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মধ্যে হোয়াইট হাউসে দুপুরের ভোজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বৈঠককে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কমাতে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ট্রাম্প মুনিরের এই অঞ্চলে ‘স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ভূমিকার’ প্রশংসাও করেছেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই সাক্ষাতের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতে আক্রমণ ও পাকিস্তানের ভূমিকা
শশী থারুর ট্রাম্প-মুনির বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, পাকিস্তান বহু বছর ধরে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। তিনি বলেছেন, ৯/১১ আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকা পাকিস্তানেই ধরেছিল। তিনি বলেছেন, আমেরিকাকে এই শিক্ষা ভুলে গেলে চলবে না।
থারুর বলেছেন, পাকিস্তান প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদীরা আজও ভারতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে ভারত স্পষ্টভাবে পাকিস্তান ও তার সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে। তিনি বলেছেন, আশা করা যায় ট্রাম্প এই বিষয়গুলো নিয়ে মুনিরের কাছে কঠোর প্রশ্ন করেছেন।
অপারেশন সিন্ধুর ও পাক সেনার জড়িত থাকা
কংগ্রেস নেতা অপারেশন সিন্ধুরের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই অভিযানে ভারত বহু সন্ত্রাসবাদীকে নিহত করেছিল। থারুর বলেছেন, এই সন্ত্রাসবাদীদের জানাজায় পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এই বিষয়টির প্রমাণ যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের সাথে রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য চোখ খুলতে দেওয়ার মতো।
আমেরিকার কাছে সতর্কতার আহ্বান
থারুর আমেরিকার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার সময় তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, যে দেশ একসময় ওসামা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসবাদীকে আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দেশের সেনাপ্রধানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সাক্ষাত একটি বিপজ্জনক ইঙ্গিত হতে পারে। আমেরিকাকে এই বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না যে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় শিকার তারাই।