সিন্ধু চুক্তি বাতিল: ভারত বগলীহার ও কিশানগঙ্গা বাঁধ বন্ধ করে পাকিস্তানকে ধাক্কা

সিন্ধু চুক্তি বাতিল: ভারত বগলীহার ও কিশানগঙ্গা বাঁধ বন্ধ করে পাকিস্তানকে ধাক্কা
সর্বশেষ আপডেট: 04-05-2025

সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করার পর ভারত বগলীহার বাঁধ থেকে চিনাবের পানি বন্ধ করে দিয়েছে এবং এখন কিশানগঙ্গা বাঁধ বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার ফলে প্রবাহ কমে যাবে।

বগলীহার বাঁধ: পুলওয়ামার মতো আক্রমণের পর ভারত পাকিস্তানকে আরেকটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। ২২শে এপ্রিল ২০২৫-এ জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে জঙ্গি আক্রমণের পর ভারত সরকার সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিল। এখন ভারত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে চিনাব নদীতে অবস্থিত বগলীহার বাঁধ থেকে পানি বন্ধ করে দিয়েছে।

ঝেলম ও নীলাম নদীও পরবর্তী লক্ষ্য

ভারত শুধুমাত্র চিনাব পর্যন্ত থেমে থাকেনি। এখন সরকার ঝেলম নদীর উপনদী নীলামে অবস্থিত কিশানগঙ্গা বাঁধ বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি তা হয়, তাহলে পাকিস্তানে প্রবাহ আরও বেশি কমে যাবে, যার ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা এখন ভারতের হাতে

সরকারি সূত্র অনুসারে, এখন ভারত রামবানে অবস্থিত বগলীহার বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে অবস্থিত কিশানগঙ্গা বাঁধের সাহায্যে পাকিস্তানে যাওয়া পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। ইচ্ছা করলে পানি বন্ধ করা যাবে, এবং প্রয়োজন হলে হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়াও যাবে। এর ফলে পাকিস্তানে বন্যার আশঙ্কাও সর্বদা বজায় থাকবে।

পাকিস্তানকে হবে বড় ক্ষতি

এই দুটি বাঁধের প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে পাকিস্তানের সেচ ব্যবস্থা, কৃষিকাজ এবং জল সরবরাহের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ক্রমাগত প্রবাহ না পাওয়ার ফলে দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে, ভারত যদি বাঁধ খুলে দেয়, তাহলে বন্যার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।

কি ছিল সিন্ধু জল চুক্তি?

১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এতে ঠিক করা হয়েছিল যে উপরের তিনটি নদী – সিন্ধু, চিনাব এবং ঝেলম – পাকিস্তান পাবে এবং নিম্নের তিনটি নদী – রাবি, বিয়াস এবং সতলজ – ভারত পাবে। কিন্তু এখন ভারত ২৩শে এপ্রিল ২০২৫-এ এই চুক্তি তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দিয়েছে।

Leave a comment