সংবিধান দিবস: ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

সংবিধান দিবস: ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
সর্বশেষ আপডেট: 28-01-2025

আজ, ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯, ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। এই দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যা ভারতীয় গণতন্ত্র এবং তার সংবিধানের গুরুত্বকে উজ্জ্বল করে তোলে। ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে প্রণীত ভারতীয় সংবিধানটি ২৬ জানুয়ারী ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়, যার ফলে ভারত একটি সার্বভৌম গণরাজ্যে পরিণত হয়।

নয়াদিল্লি: আজ সারা ভারতে সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে, যা ১৯৪৯ সালে সংবিধান গৃহীত হওয়ার স্মরণে পালিত হয়। এই বছর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং "এক্স" (পূর্বে টুইটার) এ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি তার বার্তায় লিখেছেন, ‘‘সকল দেশবাসীকে ভারতীয় সংবিধানের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সংবিধান দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’’

সংবিধান দিবসের দিনের গুরুত্ব এই যে, এই দিনটি আমাদের ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব, এর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অধিকার এবং কর্তব্যগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই সংবিধান ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, যেমন সমতা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারকে সুদৃঢ় করেছে।

সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন পিএম মোদী 

সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ পুরানো সংসদ ভবনের কেন্দ্রীয় কক্ষ, যাকে এখন সংবিধান সদন বলা হয়, সেখানে মুখ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভা অধ্যক্ষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ধ্যায় প্রায় ৫ টায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক ভবনে आयोजিত সংবিধান দিবস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই উপলক্ষে তিনি ভারতীয় न्यायपालिका-এর বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২৩-২৪) প্রকাশ করবেন এবং উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখবেন।

গৃহমন্ত্রী অমিত শাহও সংবিধান দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন 

কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধান দিবস উপলক্ষে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সংবিধানকে ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তি বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে এটি জাতীয় ঐক্য ও অখণ্ডতার মন্ত্র প্রদান করে। শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সংবিধান দিবস পালনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন, যা সংবিধানের নির্মাতাদের, বিশেষ করে বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সংবিধানের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি তার শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, "ভারতের মতো বিশাল দেশের গণতন্ত্রের শক্তি হলো আমাদের সংবিধান, যা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ন্যায় এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করে। এই সংবিধানেরই প্রভাবে আমরা জাতীয় ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছি।"

অমিত শাহ সংবিধানকে কেবল একটি বই নয়, বরং একটি জীবন্ত দলিল বলেছেন যা জনজীবনে সর্বোত্তম অবদানের চাবিকাঠি। তিনি এই সংবিধান দিবসে একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সংকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a comment