প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা আক্রমণ: মিথ্যা অভিযোগ অস্বীকার, রাজনীতি ত্যাগের প্রতিশ্রুতি

প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা আক্রমণ: মিথ্যা অভিযোগ অস্বীকার, রাজনীতি ত্যাগের প্রতিশ্রুতি
সর্বশেষ আপডেট: 19-06-2025

প্রশান্ত কিশোর দিলীপ জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সীমান্তচল মেডিকেল কলেজ দখলের তদন্তের দাবী জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন যে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

বিহার রাজনীতি: জন সুরাজ পার্টির নেতা এবং নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর বিজেপি বিহার প্রদেশ সভাপতি দিলীপ জয়সওয়ালের অভিযোগগুলি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে তীব্র পাল্টা আক্রমণ করেছেন। তিনি শুধুমাত্র অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেননি, বরং দাবি করেছেন যে, অভিযোগগুলি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। একই সাথে তিনি জয়সওয়ালকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ

দিলীপ জয়সওয়াল সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের উপর মিথ্যা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রচারের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, কিশোরের সমর্থনে এমন অনেক সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ এবং পেজ পরিচালিত হচ্ছে যার পরিচালনা গোপনীয়ভাবে করা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাইবার থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে।

প্রশান্ত কিশোরের জবাব: এদের কাছে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া শিখিয়েছি

এই অভিযোগের জবাবে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন যে, দিলীপ জয়সওয়ালের মতো নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো ধারণাই নেই। তিনি বলেছেন, "এদের বাবার বাবার কাছে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া শিখিয়েছি। যে অ্যাকাউন্টের কথা বলা হচ্ছে, তা ২০১৬ সাল থেকে বিজেপির দুই কর্মী চালাচ্ছে। ওই গ্রুপে বিজেপি, আরজেডি, জন সুরাজ সবার পোস্টিং হয়।"

অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি থেকে অবসর নেব

প্রশান্ত কিশোর চ্যালেঞ্জ করেছেন যে, যদি দিলীপ জয়সওয়ালের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন। তিনি বলেছেন, "যদি একটিও অভিযোগ সঠিক হয়, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু যদি অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে দিলীপ জয়সওয়ালকে সমগ্র বিহারের তরুণদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।"

সীমান্তচলের মেডিকেল কলেজ দখলের অভিযোগ

প্রশান্ত কিশোর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে দিলীপ জয়সওয়ালের উপর সীমান্তচলস্থিত সংখ্যালঘু মেডিকেল কলেজ দখলের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন যে, যে কলেজটি একজন শিখ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার হত্যার পর জয়সওয়াল সেই কলেজের উপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন।

সরকারের কাছে তদন্তের দাবী

কিশোর রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবী করেছেন যে, এই বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। তিনি বলেছেন যে, দিল্লি এবং পটনাতে উভয় স্থানেই বিজেপির সরকার রয়েছে, তাই যদি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া পেজ মিথ্যাভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে তা বন্ধ করানো উচিত এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।

দিলীপ জয়সওয়ালকে অভিজ্ঞতাবিহীন বলে অভিহিত

প্রশান্ত কিশোর দিলীপ জয়সওয়ালকে অভিজ্ঞতাবিহীন নেতা বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার এবিসিডিও জানেন না। তিনি বলেছেন, "এদের বোঝাই নেই যে ফেসবুক গ্রুপ কীভাবে কাজ করে। এরা শুধু কলেজ দখলের রাজনীতি জানে।"

Leave a comment