মহারাষ্ট্রের জন্য ৮০০ কিমি ‘শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণ: যানজট কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি

মহারাষ্ট্রের জন্য ৮০০ কিমি ‘শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণ: যানজট কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি
সর্বশেষ আপডেট: 7 ঘণ্টা আগে

মহারাস্ট्रा রাজ্য সরকার রাজ্যের পূর্ব অংশের সঙ্গে পশ্চিম কনকণকে যুক্ত করতে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই উচ্চ-গতির করিডোরটি নাগপুর থেকে গোয়া হয়ে যাওয়ার সময়কে ১৮ ঘণ্টা থেকে মাত্র ৮ ঘণ্টায় কমিয়ে দেবে। মঙ্গলবার मुख्यमंत्री একনাথ शिंदे-এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই महत्वाकांक्षी প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নির্মাণে আনুমানিক খরচ ₹ ২০,৭৮৭ কোটি

এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ₹ ২০,৭৮৭ কোটি এবং এটি মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশন (MSRDC)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য HUDCO ₹১২,০০০ কোটি ঋণ অনুমোদন করেছে। সরকার বলছে, এই প্রকল্পটি শুধু যান চলাচলকে সহজ করবে না, বরং ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও রাজ্যকে শক্তিশালী করবে।

হাইওয়েটি ১২টি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে

এই গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়েটি वर्धा-র पवनার থেকে শুরু হয়ে সিন্ধুदुर्ग-এর পাत्रादेवी পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, যা মহারাষ্ট্রকে গোয়াவுடன் যুক্ত করবে। এটি वर्धा, यवतमाल, হিংলোলি, নাंदेड़, পরভনী, বিড, লাতুর, धाराशिव, সোলাপুর, सांगলি, কোल्हाপুর এবং সিন্ধুदुर्ग জেলাগুলির মধ্যে দিয়ে যাবে। এই প্রকল্পের ফলে এই এলাকাগুলিতে শিল্প, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ার আশা করা যাচ্ছে।

শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে ধর্মীয় স্থানগুলিকে যুক্ত করবে

শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে-এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র যানজট নিরসন নয়, বরং এই পথটি রাজ্যের প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলির সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করবে। अंबाजोगाई, औंधा नागनाथ, পরली वैजनाथ-এর মতো দুটি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং করंजा-লাড, अक्कलकोट, औदुम्बर, नरसोबाची वाड़ी, माहुर, तुलजापुर, কোल्हाপুর ও पंढरপুর-এর মতো আধ্যাত্মিক স্থানগুলিতে সহজে পৌঁছানো যাবে। এর ফলে ধর্মীয় পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপ ও স্বচ্ছতার উপর জোর

मुख्यमंत्री প্রকল্পটির পর্যালোচনা করে কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, যেখানে স্থানীয় বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে, সেখানে কৃষিজীবী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সংলাপ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমাধান করা হবে, যাতে কাজটি কোনো বিতর্কেরறி এগিয়ে যেতে পারে।

মন্ত্রিসভার অন্যান্য সিদ্ধান্ত

মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজাতিভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য छात्रावासগুলিতে থাকার ভাতা বহু বছর ধরে लंबित ছিল, সেই সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। একই সাথে, पिंपरी-चिंचवाड़-এর চिखली অঞ্চলে আপজল পরিশোধন संयंत्रের জন্য ৭,০০০ বর্গমিটার জমি বরাদ্দ করার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকার মনে করে, শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে শুধু যান চলাচল এবং ধর্মীয় যাত্রাকে সহজ করবে না, বরং এটি গ্রামীণ ও अर्ध-শहरी অঞ্চলের জন্য উন্নয়নের সেতু হিসেবে কাজ করবে। এই সিদ্ধান্তটি মহারাষ্ট্রকে অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Leave a comment