ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন-২০২৪-এর জন্য রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে, বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (ঝামুমো) গঠবন্ধন এবং বিজেপির মধ্যে শক্তি-সংগ্রাম চলছে। শেষ সময়ের একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রস্তাবক মণ্ডল মুর্মুকে নিজেদের দলে যোগ করেছে।
দেওঘর: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন-২০২৪-এ সরকারী দল ঝামুমো গঠবন্ধন এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে নেতা-নেত্রীদের দল বদলের প্রতিযোগিতা চলছে। টিকিট না পাওয়ার কারণে অনেক নেতা প্রতিদিন দল বদল করছেন, যার ফলে রাজনৈতিক পরিবেশে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে একটি বড় ধাক্কা দিয়ে সিদো-কানহুর বংশধর মণ্ডল মুর্মুকে নিজেদের দলে যোগ করেছে। মণ্ডল মুর্মুকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের মনোনয়নের সময় প্রস্তাবক করেছিলেন এবং এখন তার বিজেপিতে যোগদান ঝামুমোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
মণ্ডল মুর্মু বিজেপির হাত ধরেছেন
রবিবার রাতে দেওঘরে গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বাসভবনে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে সিদো-কানহুর বংশধর মণ্ডল মুর্মু ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী শিবরাজ সিং চৌহান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং নির্বাচনী সহ-প্রভারী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, ঝাড়খণ্ড বিজেপির সাংগঠনিক প্রভারী ডঃ লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, বিজেপির কর্মকর্তা প্রদেশ সভাপতি ডঃ রবীন্দ্র রায় এবং গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মণ্ডল মুর্মুর দলের স্বাগত জানান। শিবরাজ সিং চৌহান বিজেপির পদক পরিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেন।
মণ্ডল মুর্মু এই উপলক্ষে বলেন, তিনি সিদো-কানহুর ষষ্ঠ বংশধর এবং বিজেপির নীতি ও আদর্শের প্রভাবে তিনি দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই পদক্ষেপকে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে একটি বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাঁকে নিজের মনোনয়নে প্রস্তাবক করেছিলেন। মণ্ডল মুর্মুর বিজেপিতে যোগদান ঝামুমোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
মণ্ডল মুর্মু জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগদানের কারণ
বরহেট বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রস্তাবক হওয়ার পর মণ্ডল মুর্মু ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (ঝামুমো)-তে আর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন না, যার ফলে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-তে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, মণ্ডল মুর্মুর সাথে মিলে তিনি সাঁথাল পরগণায় কাজ করবেন এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার কৌশল তৈরি করবেন।
