গয়ায় ফাল্গু নদীতে বন্যা: ১৮ জন উদ্ধার, ২ নিখোঁজ

গয়ায় ফাল্গু নদীতে বন্যা: ১৮ জন উদ্ধার, ২ নিখোঁজ
সর্বশেষ আপডেট: 19-06-2025

গয়ায় অব্যাহত বৃষ্টির ফলে ফাল্গু নদীতে হঠাৎ করে বন্যা দেখা দিয়েছে। SDRF ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে। ২ জন এখনও নিখোঁজ। প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

বিহার: গয়ায় গত দুই দিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টির ফলে ফাল্গু নদীর জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার রাতে নদীতে হঠাৎ করে পানির বেগ বেড়ে যায়, যার ফলে মানপুর ছয় লেন সেতুর নিচে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী ২০ জন বনবাসী নদীর তোড়ে পড়ে। এ ঘটনা রাতে ঘটে, যখন বেশিরভাগ লোক ঘুমিয়ে ছিল, ফলে তাদের পালানোর কোনো সুযোগ ছিল না।

ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে

রাতে তীব্র শব্দ এবং পানির বেগে আতঙ্কিত লোকজন যখন চিৎকার করতে শুরু করে, তখন আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মুফাসিল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। পুলিশ অবিলম্বে জেলা প্রশাসনকে অবস্থার খবর দেয়, এরপর SDRF (SDRF) দলকে উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয়।

ভোরে তিনটায় উদ্ধার অভিযান শুরু

বৃহস্পতিবার ভোর প্রায় ৩ টায় SDRF দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দলটি দ্রুত কাজ করে ১৮ জন বনবাসীকে নিরাপদে বের করে আনে। সবাইকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দুইজন এখনও নিখোঁজ, যাদের খোঁজাখুঁজি চলছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজাখুঁজি চলছে

SDRF দল নিখোঁজ দুই ব্যক্তির অবিরাম খোঁজাখুঁজি করছে। প্রশাসন নদীর আশপাশের এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া বনবাসীরা জানিয়েছে, তাদের দুই সঙ্গী নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে এবং তখন থেকে তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে উদ্ধারকারী দলের উদ্বেগ এবং দায়িত্ব উভয়ই বেড়েছে।

প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে

ঘটনার পর জেলা প্রশাসন ফাল্গু নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী সকলের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। প্রশাসন স্পষ্ট করে বলেছে, আগামী দিনগুলিতে আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায়, লোকজন নদীর কিনারায় না থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিক। এছাড়া আশপাশের থানা এলাকাগুলোকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে যাতে কোনো জরুরি অবস্থায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

স্থানীয়দের সহায়তায় ত্বরান্বিত হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম

ঘটনার পর এলাকার স্থানীয়রাও SDRF এবং পুলিশকে সাহায্য করেছে। লোকজন নৌকা ও দড়ির সাহায্যে উদ্ধারকারী দলকে দিক নির্দেশনা দিতে এবং বন্যার পানিতে আটকা পড়া লোকজনের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। এই মানবিক সহযোগিতায় উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয় এবং সময়মতো ১৮ জনের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।

বৃষ্টি ও বন্যার পরিস্থিতি গুরুতর

গয়া ও আশপাশের এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টির ফলে নদী ও নালায় পানির মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসন অবিরাম আবহাওয়া দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং জলস্তর পর্যবেক্ষণ করছে। ফাল্গু নদী বিশেষ করে আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে কারণ এটি শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকা উভয়ের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়।

Leave a comment