ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর আজ DGMO পর্যায়ের আলোচনা হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রক্ষামন্ত্রী, সেনাপ্রধান, NSA অজিত ডোভাল এবং CDS-এর সাথে যুদ্ধবিরতি কৌশল নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে।
India Pakistan ceasefire: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি (ceasefire) চুক্তি স্বাক্ষরের পর এখন উভয় দেশের DGMO (Director General of Military Operations)-এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে চলেছে। এই আলোচনার আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেশের শীর্ষ রক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে, যেখানে আগামী পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চলছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
যুদ্ধবিরতি বিষয়ে DGMO আলোচনার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিরাপত্তা নিয়ে বড় বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান, স্থলবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর প্রধান, রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো এটি নিশ্চিত করা যে সীমান্তে শান্তি বজায় থাকে এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যেকোনো উস্কানিমূলক কাজের প্রস্তুতি থাকে।
DGMO-এর আলোচনা : বিকেল ২:৩০ টায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
আজ বিকেল ২:৩০ টায় ভারত ও পাকিস্তানের DGMO-এর মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। এই বৈঠকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন রোধ এবং সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশের উপর ফোকাস করবেন।
এই বৈঠকে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট থাকবে যে সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
সীমান্তে পরিস্থিতি : শান্তির ইঙ্গিত কিন্তু সতর্কতা অব্যাহত
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে শান্তি বজায় আছে। যদিও, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ড্রোন আক্রমণ, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি কার্যকলাপের উপর কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো ভুল না হোক সেজন্য ভারত তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করেছে।
কি পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করেছে?
পূর্ববর্তী এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. সিং বলেন, পাকিস্তানের এই সম্মতি আসলে তার বাধ্যবাধকতায় নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন,
"পাকিস্তানের ড্রোন আক্রমণের ভারত চমৎকারভাবে মোকাবেলা করেছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের কৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছে। তারা বুঝতেই পারেনি ভারতের প্রযুক্তির কাছে কীভাবে টিকে থাকবে।"
তিনি আরও বলেন যে, পাকিস্তান এখন বুঝতে পেরেছে যে যদি ভারত প্রতিরোধমূলক অভিযান শুরু করে তাহলে তারা বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। তাই তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।