এলভিস যাদব ‘খতরোং কে খিলাড়ি ১৫’ প্রত্যাখ্যান: মগরমছের ভয়ে

এলভিস যাদব ‘খতরোং কে খিলাড়ি ১৫’ প্রত্যাখ্যান: মগরমছের ভয়ে
সর্বশেষ আপডেট: 03-06-2025

এলভিস যাদব ‘খতরোং কে খিলাড়ি ১৫’র অফার মগরমছের ভয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি রিয়েলিটি শো করতে পছন্দ করেন, কিন্তু পশুর সাথে স্টান্ট করতে ভয় পান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এই সততা অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে।

খতরোং কে খিলাড়ি ১৫: সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন এবং ইউটিউবার এলভিস যাদব আবারও আলোচনায়। এবার তার আলোচনার কারণ হলো রিয়েলিটি শো ‘খতরোং কে খিলাড়ি ১৫’র অফার প্রত্যাখ্যান করা। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন! স্টান্ট-ভিত্তিক এই শোর জন্য এলভিসকে অসাধারণ অফার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি একটি আকর্ষণীয় এবং অনন্য কারণে এই সুযোগটি হাতছাড়া করেছেন। এলভিস স্পষ্ট করে বলেছেন যে শোতে মগরমছের উপস্থিতির কারণে তার মাও তাকে এই শোতে যেতে নিষেধ করেছেন।

মগরমছের ভয় পান এলভিস

এলভিস যাদব ‘পিঙ্কভিলা’র সাথে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন যে তাকে ‘খতরোং কে খিলাড়ি ১৫’র জন্য অফার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। তিনি মজার ছলে বলেছেন, ‘মগরমছ তো আছে সেখানে, আমি প্রতিবারই বলি। মগরমছের আমার অনেক ভয় লাগে। আমি প্রযোজকদের বলেছিলাম যে, হয় আপনাদের শোতে মগরমছ থাকবে, নয়তো আমি। দুজনে একসাথে থাকতে পারব না।’ এই প্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়ায় তার আলাদা পরিচয় তৈরি করেছে।

তার কথার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, এলভিস যদিও রিয়েলিটি শো করতে পছন্দ করেন, কিন্তু পশুর প্রতি তার ভয় তাকে এ ধরণের বড় শো থেকে দূরে রাখে। বিশেষ করে মগরমছের ভয় তার মাকেও চিন্তিত করে, যিনি এলভিসকে এই শোতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন।

রিয়েলিটি শোর প্রতি এলভিসের আগ্রহ

এলভিস যাদব এটাও জানিয়েছেন যে তিনি রিয়েলিটি শোর অংশ হতে পছন্দ করেন কারণ এখানে কোনও স্ক্রিপ্ট থাকে না। অর্থাৎ যা হয়, তা সত্যি হয়। এই কারণেই তিনি সবসময় এমন শো বেছে নিয়েছেন যেখানে তার আসল ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেতে পারে।

এই কারণেই এলভিস বিগ বস ওটিটি ২-তেও অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেই শো জিতে তার জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি এমটিভি রোডীজ এক্সএক্স-এ গ্যাং লিডারের ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেখানে তার স্বভাব এবং নেতৃত্বের দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল।

‘লাফ্টার শেফস ২’-তেও দেখা গেছে অসাধারণ পারফরম্যান্স

বর্তমানে এলভিস ‘লাফ্টার শেফস ২’-তে তার কমেডি এবং আভঙ্গ দিয়ে দর্শকদের হাসাতে ব্যস্ত আছেন। এই শোটিও তাকে বেশ পছন্দ হচ্ছে, কারণ এতে বিনোদনের সাথে সাথে তার সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ মেলে। এই শোতে তার আভঙ্গের প্রশংসা অত্যন্ত হচ্ছে, যার ফলে তার ভক্তসংখ্যা আরও বেড়ে চলেছে।

‘খতরোং কে খিলাড়ি’র ভবিষ্যৎ কী?

যখন এলভিস যাদবকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, কি তিনি ভবিষ্যতে ‘খতরোং কে খিলাড়ি’র মতো স্টান্ট-ভিত্তিক শোর অংশগ্রহণ করবেন, তখন তিনি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্টান্ট করতে পছন্দ করি, কিন্তু পশুর সাথে আমার ভয় লাগে। মগরমছ নিয়ে আমার এই দুর্বলতা রয়েছে। আমার আশা, ভবিষ্যতে এমন কোনও শো হবে যেখানে স্টান্ট থাকবে কিন্তু পশু থাকবে না।’

এটাও বলেছেন যে, যদি তাকে আবার ‘রোডীজ’র মতো শোতে গ্যাং লিডার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করবেন, শুধুমাত্র কিছু শর্ত সাপেক্ষে। এলভিস তার কাজ নিয়ে একটি স্পষ্ট এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন, যা তার পারফেকশনিষ্ট প্রকৃতির ইঙ্গিত দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের প্রতিক্রিয়া

এলভিস যাদবের এই সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার ভক্তরা তার সৎ এবং বিন্দাস আভঙ্গের প্রশংসা করেছেন। অনেকে মজা করে বলছেন যে, এলভিস খতরার নয়, মগরমছের ভয় পান। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেছেন যে, যেকোনো ব্যক্তির ভয় ব্যক্তিগত বিষয় এবং তাকে সম্মান করা উচিত।

টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে #ElvishYadav ট্রেন্ড করছে, যেখানে লোকেরা তার কাজ এবং প্রকাশিত তথ্যগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার করছে। এলভিসের এই অনন্য কারণ দেখে অনেকে তার মানবিকতা এবং সততার প্রশংসা করেছেন।

এলভিস যাদব: ইউটিউব থেকে টেলিভিশন পর্যন্ত যাত্রা

এলভিস যাদবের যাত্রা শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে, যেখানে তিনি তার কমেডি ভিডিও এবং ভ্লগের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা এত বেড়েছে যে তিনি বড় টেলিভিশন রিয়েলিটি শোতে আমন্ত্রিত হতে শুরু করেছেন। বিগ বস ওটিটি ২ জেতার পর তার ভক্ত অনুসারী আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরপর তিনি এমটিভি রোডীজ এবং এখন ‘লাফ্টার শেফস’র মতো শোতে অংশগ্রহণ করে তার বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। তার এই ধারাবাহিক উন্নতি দেখায় যে তিনি কেবল ইউটিউবার নন, বরং একজন বহুগুণসম্পন্ন তারকা।

এলভিসের স্পষ্ট বার্তা

এলভিস যাদব তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তার ভয়ের সাথে কখনো আপোষ করবেন না। তিনি শুধুমাত্র সেই কাজগুলোই করবেন যেগুলোতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তার এই পদক্ষেপ দেখায় যে সাফল্যের সাথে সাথে নিজের পছন্দ-অপছন্দ বুঝতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এলভিসের এই উদাহরণ তরুণ প্রজন্মের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস, যে নিজের সাথে সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে সততা এবং আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a comment