টিভি শো ‘গুম হ্যায় কিছি কে পিয়ার মেন’ -এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী ঐশ্বর্যা শর্মা কিছুদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। তাকে শেষবার ‘বিগ বস ১৭’ -এ দেখা গিয়েছিল, তার পর থেকে তিনি আর কোনো শোতে দেখা দেননি।
ঐশ্বর্যা শর্মা'র কর্মজীবন সম্পর্কে: টিভির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা শর্মা কিছুদিন ধরে ছোট পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন। নিজের ফিটনেস এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছেন। তবে, সম্প্রতি তিনি তার কর্মজীবন, ইন্ডাস্ট্রির চাপ এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। ঐশ্বর্যা জানিয়েছেন যে টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সহজ নয় এবং এর সাথে আসা চাপও অনেক বেশি।
বিগ বসের পর থেকে অভিনয় থেকে দূরে ঐশ্বর্যা শর্মা
দর্শকরা শেষবার ‘বিগ বস ১৭’ -এ ঐশ্বর্যা শর্মাকে দেখেছিলেন। এর পর থেকে তিনি আর কোনো টিভি শোতে দেখা দেননি। এই বিরতি সম্পর্কে ঐশ্বর্যা জানিয়েছেন যে তিনি নিজেকে কিছু সময় দিয়েছেন যাতে তিনি তার স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। তার বিশ্বাস, ফিটনেস ছাড়া ভালো পারফরম্যান্স দেওয়া কঠিন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্যা বলেছেন, “আমার কাছে ফিটনেসের সাথে কোনো আপোষ নেই। কিছুদিন আগে আমাকে নিজের উপর অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল কারণ আমি স্বভাবতই একটু অলস। সবসময় ওয়ার্কআউটের জন্য অনুপ্রেরণা পাওয়া জরুরি।”
ইন্ডাস্ট্রির চাপ এবং মানসিক চাপ
ঐশ্বর্যা এটাও স্বীকার করেছেন যে টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য যে চাপ আসে তা সহ্য করা সহজ নয়। তিনি বলেছেন, যদি আমি বলি যে আমার উপর কোন চাপ নেই, তাহলে আমি মিথ্যা বলব। যখন মানুষ আপনার উপর বিশ্বাস করে, তাদের সময় ও শক্তি ব্যয় করে, তখন দায়িত্বও বেড়ে যায়। ঐশ্বর্যা আরও বলেছেন যে তাকে শিখতে হয়েছে ‘কখন কী বলতে হবে’।
তার মতে, সততা জরুরি, কিন্তু সবকিছু সোজা এবং খোলামেলা বলা মানে এই নয় যে আপনি লাপরোয়া হয়ে যাবেন। তিনি বলেছেন, “আমি সবসময় সবার খুশি করার জন্য কোনো খেলা খেলতে পারব না, কিন্তু আমি এটাও শিখছি যে আমার সীমা কীভাবে নির্ধারণ করতে হয়।”
কর্মজীবন নিয়ে চিন্তাভাবনা এবং আগামী দিন
ঐশ্বর্যা তার কর্মজীবন নিয়ে স্পষ্টতা প্রকাশ করেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে যারা তার কাজ এবং ব্যক্তিত্বের সাথে জড়িত, তারা তার সাথে থাকবেন। তার কাছে এটাই যথেষ্ট। তিনি বলেছেন, মানুষ কী বলবে, এটা তো চলতেই থাকবে। আমাদের নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এটাই সবচেয়ে জরুরি। তার মতে, সাফল্য কেবলমাত্র সাফল্যের সংখ্যা দিয়ে আসে না, বরং নিজের পছন্দ এবং মানসিক শান্তিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এই কারণেই তিনি এখন টিভি ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন।
ফিটনেসকে দিচ্ছেন প্রাধান্য
ঐশ্বর্যার এই বিরতি শুধুমাত্র কর্মজীবনের দূরত্ব নয়, বরং একটি সুস্থ এবং শক্তিশালী শারীরিক গঠন তৈরির চেষ্টাও। তিনি জানিয়েছেন যে ফিটনেস তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে এবং এর ছাড়া তিনি নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে করেন। এই সময় তিনি তার শখ, যোগ এবং ধ্যানের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেছেন।
ঐশ্বর্যার বিশ্বাস, মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ছাড়া কোনো পেশাতেই সাফল্য অর্জন করা কঠিন। তাই তিনি এখন নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করতে চান যাতে তিনি যখনই ফিরে আসবেন, তখন তার কাজে সর্বোত্তম দিতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং সমালোচনার সাথে কীভাবে মোকাবিলা করেন?
ঐশ্বর্যা শর্মা এটাও জানিয়েছেন যে তাকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু তিনি ধৈর্য্য এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে এর মোকাবিলা করেন। তার মতে, সমালোচনা থেকে শেখাও জরুরি, কিন্তু নিজেকে ভেঙে ফেলতে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছেন, আমি শিখেছি যে কীভাবে আমার সীমা নির্ধারণ করতে হয় এবং কখন চুপ থাকা ঠিক। ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সহজ নয়, কিন্তু যারা সত্যিকারের মন থেকে জড়িত, তারা সাথে থাকবে।