বলিউড: মুম্বই আদালত নানা পাটেকরকে বড় স্বস্তি দিয়েছে, অন্যদিকে তনুশ্রী দত্তাকে বড় ধাক্কা লেগেছে। আদালত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে নানার বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় খোলার আবেদন করা হয়েছিল।
আদালত কেন তনুশ্রীর আবেদন খারিজ করল?
মুম্বইয়ের একটি আদালত তনুশ্রী দত্তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে তিনি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে পূর্বে প্রাপ্ত স্বস্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আদালত তাঁদের রায় ঘোষণা করে বলেছেন,
"২০০৮ সালের অভিযোগ সময়সীমা অতিক্রম করেছে এবং ২০০৮ সালের ঘটনার জন্য নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।"
এই রায়ের সাথে সাথেই নানা পাটেকর আবারও ক্লিনচিট পেয়েছেন এবং এই মামলা আবারও ঠান্ডা বেষ্টনীতে চলে গেছে।
সম্পূর্ণ ঘটনা কি ছিল?
এই বিতর্ক ২০০৮ সালে মিটু ক্যাম্পেইনের সময় শিরোনামে উঠে এসেছিল, যখন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত দাবি করেছিলেন যে ২০০৮ সালে একটি ছবির শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর তাঁর যৌন নির্যাতন করেছিলেন। এই বক্তব্যের পর মামলা দায়ের হয় এবং পুলিশ তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু আদালতে শুনানির পর প্রমাণের অভাবে নানা পাটেকরকে স্বস্তি দেওয়া হয়।
তনুশ্রী পুনরায় আবেদন দায়ের করেছিলেন
আদালত থেকে স্বস্তি পাওয়ার পর তনুশ্রী দত্তা আবারও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নতুন আবেদন দায়ের করেন। তিনি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত এবং মামলা খোলার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত প্রমাণের অভাবে এই আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই মামলায় আর কোনও ব্যবস্থা হবে না।
মিটু ক্যাম্পেইন এবং ভারতে তার প্রতিধ্বনি
২০১৮ সালে মিটু ক্যাম্পেইন বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। হলিউড থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান ভারতেও পৌঁছেছে, যেখানে অনেক মহিলা তাঁদের সাথে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। এই সময় বলিউডের অনেক বড় তারকাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল।
তনুশ্রী দত্তাও এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ২০০৮ সালের ঘটনা প্রকাশ করেছিলেন, যার পর বলিউড এবং মিডিয়ায় এই নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়েছিল। কিন্তু ৭ বছর পর এই মামলা এখন সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
রায় নিয়ে উভয় পক্ষের প্রতিক্রিয়া
এই রায়ের পর নানা পাটেকরের সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ উঠেছে, অন্যদিকে তনুশ্রী দত্তাকে বড় ধাক্কা লেগেছে।
এই মামলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এখন মিটু বিতর্কের এই আলোচিত অধ্যায়ও শেষ হয়ে গেছে।