প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সলিম আখতারের মৃত্যুতে শোকাহত হিন্দি চলচ্চিত্র জগৎ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
Salim Akhtar Death: হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্প আরও একজন মহান নির্মাতাকে হারাল। ৮ এপ্রিল ৮২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
৮০ ও ৯০-এর দশকের হিটমেকার
৮০ ও ৯০-এর দশকের খ্যাতনামা নির্মাতাদের মধ্যে সলিম আখতারের নাম অন্যতম। তিনি বলিউডকে উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র, যার মধ্যে রয়েছে ‘বন্টওয়ারা’ (১৯৯৩), ‘লোহা’ (১৯৯৭), ‘ফুল ও অঙ্গারে’, ‘বাজি’, ‘ইজ্জত’, ‘চোরদের বারাত’ এবং ‘বাদল’ ইত্যাদি। তাঁর চলচ্চিত্রগুলি সেই সময়ের দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তিনি আমির খান, ধর্মেন্দ্র, ববি দেওল এবং মিঠুন চক্রবর্তী যেসব বড় তারকা, তাঁদের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
তারকাদের লঞ্চ করার নির্মাতা
সলিম আখতার কেবল একজন সফল নির্মাতা ছিলেন তাই নয়, একজন প্রতিভাবান খোঁজাখুঁজি করার দক্ষ ব্যক্তিও ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ‘রাঁজা কি আয়েগী বারাত’ ছবির মাধ্যমে তিনি রানী মুখার্জিকে লঞ্চ করেছিলেন, যা তাঁর অভিনয় জীবনের সূচনা করেছিল। অন্যদিকে, ২০০৫ সালে সলিম আখতারের ‘চাঁদ সা রোশন চেহেরা’ ছবির মাধ্যমে তমন্না ভাটিয়া অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে এই দুজনেই চলচ্চিত্র শিল্পে তাঁদের নাম করেছেন।
সাধারণতা ও বুদ্ধিমত্তার জন্য স্মরণীয় থাকবেন
সলিম আখতারকে তাঁর সাধারণতা ও ভূমিষ্ঠ স্বভাবের জন্য স্মরণ করা হবে। তিনি একজন পেশাদার নির্মাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যিনি তাঁর শিল্পী ও ক্রুর যত্ন নিতেন। তাঁর চলচ্চিত্রগুলিতে বিনোদনের পাশাপাশি ছিল সমাজিক বার্তাও। বলিউডে তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণীয় থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র শিল্প একজন সত্যিকারের চলচ্চিত্র প্রেমী ও প্রতিভা গুরুকে হারাল।